প্যানিক বাটনে চাপ, বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় ওলট-পালট

বিশ্বকাপ ঘনিয়ে আসছে সময়ের সাথে, দলগুলো তাই গুছিয়ে নিচ্ছে নিজেদের স্কোয়াড। টিম কম্বিনেশন নিয়ে সৃষ্ট প্রশ্নের উত্তরও খুজে পাচ্ছে তাঁরা। অথচ উল্টো চিত্র বাংলাদেশে; বিশ্বকাপ যত এগিয়ে আসছে ততই যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে টাইগাররা। আর তাতে বিভ্রান্ত হচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্টও।

বিশ্বকাপের আর মাত্র এক মাস বাকি, কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এখনো সুসংহত কোন একাদশ খুঁজে পায়নি। ওপেনিংয়ে খেলবেন কারা, সাত নম্বরের দায়িত্ব উঠবে কার কাঁধে – কোন কিছুই নিশ্চিত নয়।

এবারের এশিয়া কাপেও কত কত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে, এই যেমন মেহেদি মিরাজকে ৭ নম্বর থেকে ওপেনিং পজিশনে নিয়ে যাওয়া কিংবা আফিফ, শামীমদের লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলানো।

মেহেদি মিরাজ দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেও তাঁকে নিয়মিত ওপেনার ভাবার সুযোগ নেই। শামিম, আফিফরাও পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। সাত নম্বরে এই দুই তরুণের পারফরম্যান্স হতাশাজনকই ছিল, পাকিস্তানের বিপক্ষে দুজনের সামনেই সুযোগ ছিল দলকে নিরাপদ সংগ্রহ এনে দেয়ার কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা।

আর তাই নির্বাচকদের ভাবতে হচ্ছে বিকল্প; কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিকল্প কই? ঘুরেফিরে হয়তো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেনের কাছেই ফিরতে হবে। অথচ কয়দিন আগেই তাঁদের বাদ দিয়ে এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু এখন পুনরায় পরিকল্পনায় আনতে হচ্ছে এই ডানহাতিদের।

মাহমুদউল্লাহ কিংবা মোসাদ্দেক হোসেন যে খুব আহামরি ভাল খেলেছেন তেমনটা মোটেই নয়। স্ট্রাইক রেট এবং এপ্রোচ ইস্যুতে বাদ পড়েছিলেন তাঁরা – সেই সমস্যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি। ফলে তাদের পুনরায় দলে ফেরাটা শুধু অযৌক্তিকই নয়, দৃষ্টিকটুও বটে।

আসলে পারফরম্যান্স নয় বরং তাঁদের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া অন্যরা ভাল করতে না পারায় আরো একবার দলে ফিরলেও ফিরতে পারেন ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লোয়ার মিডল অর্ডার সামলানো এই দুই ক্রিকেটার। সেক্ষেত্রে জায়গা ছাড়তে হতে পারে তরুণ শামিম, আফিফদের।

অফ ফর্মের ক্রিকেটারের বদলে আরেক অফ ফর্মের ক্রিকেটার – পৃথিবীর কোন দলের জন্যঔ এটা খুব স্বস্তির খবর নয়। বিশেষ করে বিশ্বকাপের মত মঞ্চে বাধ্য হয়ে নেয়া ক্রিকেটারদের উপর কতটা ভরসা রাখতে পারবে দেশ – সেটা ভাবনার বিষয়ই বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link