গত দশকের ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুই তারকা রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলি। নিজেদের পারফরম্যান্সে তারা ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের দুটি পিলার হয়ে আছেন দীর্ঘদিন ধরেই।
২০১৩ সালে ধোনির নেতৃত্বে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতেন কোহলি ও রোহিত। এরপর ভারত আর কোনো আইসিসি শিরোপা না জিতলেও অনেক ঐতিহাসিক সিরিজ তারা জিতিয়েছেন ভারতকে।
তবে, তাঁদের মধ্যে দলের ভেতর ইগোর লড়াইও আছে। আর এজন্য অনেকদিন যাবৎ ভারতীয় ক্রিকেট দলে সৃষ্টি হয়েছে দু’টি গ্রুপ। আর এই দু’টি গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন এই দুই গ্রেট – রোহিত ও কোহলি।
ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজের একটি স্টিং অপারেশনে ভারতের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন কোহলির অধিনায়কত্ব হারানো ও রোহিতের অধিনায়কত্ব পাওয়া নিয়ে। ২০২১ সালে নিজে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ওয়ানডে থেকেও বিরাট কোহলিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয় ভারত।
চেতন শর্মা বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টে জনপ্রিয় ছিলেন না কোহলি। এমনকি তারা রোহিতকেও খুব বেশি পছন্দ করত না। কিন্তু রোহিতকেই ওয়ানডের অধিনায়কত্ব দেয়া হয় কারণ রোহিতই তখন ছিল দ্বিতীয় সেরা পছন্দ।’
চেতন শর্মা আরো বলেন, ‘আমরা রোহিতকে পছন্দ করেছিলাম কারণ আমরা বিরাটের বিরুদ্ধে ছিলাম। বিসিসিআই বিরাটের খারাপ ফর্মের সুযোগ নিয়েছে এবং তাকে ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে। দেশের সেরা ব্যাটারের সাথে এমন আচরণ করা উচিত হয়নি।’
জি নিউজের স্টিং অপারেশনে চেতন শর্মা বলেন, ‘রোহিত আর কোহলির মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই তবে ইগোর লড়াই আছে। আপনি বলতে পারেন, দুইজনেই দুইজন বড় ফিল্মস্টারের মত; অমিতাভ বচ্চন আর ধর্মেন্দ্র। দলে দু’টো গ্রুপ আছে, রোহিতের গ্রুপ আর কোহলির গ্রুপ।’
রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলির সম্পর্ক নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা হয়েছে বহুবার। দুইজনের সম্পর্কের শীতলতা অনেকটাই ওপেন সিক্রেট ভারতের ক্রিকেট পাড়ায়।
কিন্তু, সম্পর্কের এই শীতলতা কখনোই প্রভাব ফেলেনি তাঁদের পারফরম্যান্স কিংবা দলের ওপর। দীর্ঘদিন ভারতকে নেতৃত্ব দেবার পর এখন কোনো ফরমেটেই ভারতের নেতৃত্বে নেই বিরাট। বিরাটকে সরিয়ে তিম ফরমেটেরই অধিনায়ক করা হয় রোহিতকে।