‘হিটম্যান’ রোহিতের এই তো চেনা রুপ

বহুদিন বাদে যেন দেখা মিললো চিরচেনা হিটম্যানের। নীল রাঙা জার্সি গায়ে আরও একটি বিশ্বকাপ রাঙাবেন রোহিত শর্মা। তেমন ইঙ্গিতই তিনি দিয়ে রাখলেন। আয়ারল্যান্ডের স্বল্প রানের পুঁজিকে তোয়াক্কাই করলেন না। দলের জয়ের ভীতটা গড়ে দিলেন, যেমনটি তিনি করে এসেছেন তার ক্যারিয়ার জুড়ে।

সাম্প্রতিক সময়টা কোনভাবেই ছিল না রোহিতের পক্ষে। কেননা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাকে হারাতে হয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়কত্ব। সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হওয়ার পরও একটা রুঢ় সিদ্ধান্ত। এরপর তো রীতিমত টেবিলের তলানিতে থেকে মুম্বাই আইপিএল থেকে নিয়েছিল বিদায়। মানসিকভাবে একটু হলেও বিপর্যস্ত ছিলেন তিনি।

তবে নিজেকে চাঙ্গা করে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইলেন না। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হারের ক্ষত নিশ্চয়ই এখনও শুকিয়ে যায়নি। রোহিত তাইতো এবার যেন কোন প্রকার ভুলচুক করতেই রাজি নন। যতক্ষণ সম্ভব ততক্ষণই তিনি ভারতের জয়ের জন্যে লড়ে যাবেন- এই ব্রতই যেন নিয়েছেন। তবে সে যাত্রায় কোনভাবেই তিনি আগ্রাসনকে রাখতে চাননি পাশ কাটিয়ে।

মারকুটে এক ইনিংসই খেলেছেন তিনি, বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। ১৪০.৫৪ স্ট্রাইকরেটের একটা দারুণ ইনিংস খেলে গেছেন। আদায় করে নিয়েছেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৩৫তম হাফ সেঞ্চুরি। আর তাতে করেই ৯৬ রানের স্বল্প লক্ষ্যটা দ্রুতই ভারতের তালুবন্দী হয়ে গেল।

এই ইনিংস খেলার পথে ৪টি চারের পাশাপাশি ৩টি বিশাল ছক্কা হাকিয়েছেন রোহিত শর্মা। ৫৪ রানে থেমেছে তার ইনিংস। না তাকে কেউ আউট করতে পারেননি। বরং কাধের মৃদু ব্যথা নিয়ে তিনি নিজেই মাঠ ছেড়েছেন। তখন অবশ্য ভারতের জয় ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার।

সুরিয়াকুমার যাদবকেও একটু যেন সুযোগ করে দিলেন তিনি। নতুবা অন্য যেকোন দিন ওমন মৃদু ব্যথা নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতেন তিনি। এদিন জয় নিশ্চিত বলেই উঠে যাওয়ার সাহসটা দেখিয়েছেন। তবে তিনি বরাবরই সাহসী। যুক্তরাষ্ট্রে বৈরী উইকেটে যেখানে প্রতিটা দলের ব্যাটাররাই খাবি খাচ্ছে। সেখানে তিনি আগ্রাসী ভঙ্গিমায়, নিজের চিরায়ত রুপেই ব্যাট করেছেন। এ না হলে সত্যিকারের ‘হিটম্যান’, সকল পরিস্থিতিতে সমানতালে চলে তার ব্যাট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link