২০২৩ সালের বিশ্বকাপ শেষে হারের যন্ত্রনায় কেঁদেছিলেন, এবার কাঁদলে ফাইনালে ওঠার আনন্দে। দু’টি ঘটনায় চরিত্র একটিই। তিনি রোহিত শর্মা। যে মানুষটার হাত ধরে ১৩ বছর পর আবারও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত।
সেবারে কান্না হতাশার, লজ্জার, আর যন্ত্রনার। আর এবারের কান্না অর্জনের, সাথে শঙ্কারও। আরেকটি ফাইনাল থেকে ব্যর্থ হতে নিশ্চয়ই চাইবেন না রোহিত শর্মা।
গায়ানার মঠে ইংল্যান্ডকে হারানোর পরে তখন একে একে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা সাজঘরে ঢুকছেন। হঠাৎ সাজঘরের বাইরে রাখা একটা চেয়ারে বসে পড়লেন রোহিত শর্মা। তাঁর চোখে তখন পানি, আনন্দের অশ্রুধারা।
বাঁ-হাত তুলে চোখ ঢাকলেন। কয়েক সেকেন্ড পরে হাত নামালেন। তাকিয়ে থাকলে সামনের দিকে। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, ফাইনালে উঠে, বিশেষ করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে কতটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি। অধিনায়ক হিসাবে ২২৬ দিন পরে ভারতকে আরও একটি ফাইনালে তুলেছেন রোহিত। এই ম্যাচেও খেলেছেন ৫৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
ম্যাচ শেষে রোহিত বলেন, ‘আমরা দল হিসাবে খুব পরিশ্রম করেছি। এই জয়ে সবার যোগদান রয়েছে। আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটা আমরা জিতেছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি আমরা। সেটাই তফাত গড়ে দিয়েছে।’
সাদা বলের ক্রিকেটে, টানা দুই ফাইনালে উঠলো ভারত। দুবারই সবচেয়ে বড় ফেবারিট ভারত। ২০২৩ সালের ফাইনালে ফেবারিট হয়েও দেশের মাটিতে হারতে হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এবার প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত কি পারবে? উত্তর জানতে সময়ের অপেক্ষা করার বিকল্প নেই। এর আগে চাইলে রোহিতের চোখের জলেই জয়ের রসদ খুঁজতেই পারে ভারত।