গ্যাঙ্গাম স্টাইল থেকে গারবা- সব কিছুই হল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। নীল আকাশ যেন নেমে এল ধরায়। ভারতেরই তো উৎসব করা মানায়। টানা দ্বিতীয় আইসিসি টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন্সশীপ জিতে নিল রোহিত শর্মার দল। পার্টি তো হবে সারারাত।
ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকালেন রবীন্দ্র জাদেজা। তাতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপায় লেখা হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার নাম। আকাশপানে দু’হাত তুলে সৃষ্টিকর্তাকেই ধন্যবাদ জানালেন জাদেজা। ঠিক তার আগের মুহূর্তেও ব্রডকাস্টিং ক্যামেরায় বরুণ চক্রবর্তীর উদ্বিগ্ন চেহারা ধরা পড়েছে বেশ কয়েকবার। তিনি সম্ভবত স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন। প্রথম শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে একটু চিন্তা আর অনেকখানি আনন্দের মিশ্রণ ঠিক যেন হজম হচ্ছিল না বরুণের। বল বাউন্ডারি দড়ি ছোঁয়া মাত্রই তাই বরুণ এক ছুটে মাঠের মধ্যখানে।
এর আগে অবশ্য বাইশ গজে থাকা লোকেশ রাহুল আর জাদেজাকে বুকে জাপ্টে ধরেছেন আর্শদ্বীপ সিং ও হার্শিত রানা। হার্শিতেরও তো প্রথম শিরোপা। উন্মদনা তিনি আটকে রাখেন কি করে। হার্শিত আর আর্শদ্বীপ তো জাদেজাকে নিয়ে নাচলেন দুবাইয়ের বুকে। গ্যাঙ্গাম স্টাইলে তারা তিনজন শিরোপার আনন্দে গা ভাসালেন।
তারও আগে গৌতম গম্ভীরকে বুকে টেনে নিলেন বিরাট কোহলি। লোকমুখে তো কতকথা, বিরাট-গৌতমের মধ্যে নাকি আছে নানা কোন্দল। কিন্তু শিরোপার উৎসবের ওসবকে আতশবাজির মত উড়িয়ে দিলেন বিরাট। তারপর তিনি নেমে এলেন দুবাইয়ের সবুজ গালিচায়। সঙ্গী তার রোহিত শর্মা।
দুইজনে দুইখানা স্ট্যাম্প তুলে নিলেন। বাইশ গজের ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে গারবা নৃত্যে মেতে উঠলেন। এদেরও না ছিল কোন্দল, কই সেসব তিক্ততা! চ্যাম্পিয়নদের চ্যাম্পিয়ন হতে হলে তো ব্যক্তিগত সকল ‘ইগো’ দিতে হয় মাটি চাপা। তাইতো করলেন রোহিত ও বিরাট। সে জন্যেই তো তাদের হাতে শোভা পাচ্ছে আরও একটি শিরোপা।
সফেদ ব্লেজার গায়ে, শিরোপা উঁচিয়ে বাঁধভাঙ্গা উল্লাস করল গোটা টিম ইন্ডিয়া। উল্লাসের সমাপ্তি নিশ্চয়ই এখানে ঘটছে না। এই উন্মাদনা, এই উৎসব চলবে সারারাত। ভারত জুড়ে নিশ্চয়ই খুশির রোল। শিরোপা যে ভুলিয়ে দেয় সকল দুঃখ, দুর্দশা আর সংকট।