মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ‘অধিনায়ক’ রোহিত শর্মার অধ্যায় এখন অতীত। সামনে আসর থেকে তাঁর জায়গায় নেতৃত্বে দেখা যাবে হার্দিক পান্ডিয়াকে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এমন সিদ্ধান্তের পর থেকেই চলছে আলোচনা সমালোচনা। গুঞ্জন চাওর হয়েছিল, মুম্বাইয়ের এমন সিদ্ধান্তের কথা আচমকাই গিয়েছে রোহিতের কানে।
তবে শোনা যাচ্ছে, আচমকা নয়, বিশ্বকাপ শুরুর আগেই রোহিত শর্মার মুম্বাই-ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের তরফ থেকে নাকি আগেই রোহিতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে আর অধিনায়ক রাখা হচ্ছে না।
মূলত, গুজরাট টাইটান্স থেকে একটি শর্তেই মুম্বাইয়ে ফিরে আসতে রাজি হয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেটি হলো, তাঁকে অধিনায়ক করতে হবে। আর এরপরেই বিশ্বকাপের আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের তরফ থেকে রোহিতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয় আগামী দিনের পরিকল্পনা। এ নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কর্তাদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠকও হয়েছে রোহিতের। আর তাতে হার্দিকের অধীনে খেলতে রাজিও হয়ে যান রোহিত শর্মা।
তবে, মুম্বাইয়ের এমন অধিনায়ক বদলের ইস্যুতে ঠিকই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিশেষত, নতুন অধিনায়ক হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়ার নাম ঘোষণায় দলের মধ্যে কাউকেই স্বাগত জানাতে দেখা যায়নি। এমনকি রোহিত শর্মাও কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। সব মিলিয়ে মুম্বাই অন্দরমহলে এক ধরনের থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়।
২০১৩ সালে সর্বপ্রথম মুম্বাইয়ের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এরপর ১১ আসর টানা নেতৃত্ব দিয়েছেন দলটিকে। এর মধ্যে ৫ বার শিরোপাসহ এক বার চ্যাম্পিয়নস লিগের ট্রফি জিতেছেন তিনি৷
এ দিকে ২০১৬ সালে মুম্বাইয়ের হয়ে আইপিএল অভিষেক হলেও শেষ ২ আসরে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলেছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ২ বার নেতৃত্ব দিয়ে নতুন এ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দুইবারই ফাইনালে তোলেন তিনি। এর মধ্যে একবার আইপিএল শিরোপাও জেতে গুজরাট। তবে ২ বছর বাদে নিজের পুরোনো ঠিকানাতে ফিরেই মুম্বাইয়ের নেতৃত্ব পেলেন ভারতীয় এ অলরাউন্ডার।