রোনালদো যেন চল্লিশ বছরের তরুণ

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে নামবেন, আর সেখানে রাজ করবেন না - ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্ষেত্রে এমনটা হতেই পারে না। ইউরোপে থাকতে তো নিয়ম করেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জাদু দেখাতেন তিনি; এখন আছেন এশিয়াতে। তবু পুরনো অভ্যাস কি ভোলা যায়?

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলতে নামবেন, আর সেখানে রাজ করবেন না – ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্ষেত্রে এমনটা হতেই পারে না। ইউরোপে থাকতে তো নিয়ম করেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জাদু দেখাতেন তিনি; এখন আছেন এশিয়াতে। তবু পুরনো অভ্যাস কি ভোলা যায়?

ভুলতে পারেননি রোনালদোও, তাই তো এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দাপট দেখিয়ে চলছেন। হয়ে উঠেছেন ধারাবাহিকতার মূর্ত প্রতীক – সবশেষ তাঁর উত্তাপ টের পেয়েছে আরব আমিরাতের ক্লাব আল ওয়াসল। এদিন জোড়া গোল করেছেন তিনি, তাতেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় একেবারে দুই নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি। ত্রিশের খাতায় এটাই তাঁর শেষ গোল করার স্মৃতি, এরপর থেকে তো হিসেব হবে ‘চল্লিশ’ নিয়ে।

ওয়াসলের বিপক্ষে প্রথম গোলটা এসেছে পেনাল্টি থেকে, একেবারে ঠাণ্ডা মাথায় গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে। নিন্দুকেরা চাইলে অবশ্য মুখ টিপে হাসতে পারে, কিন্তু দ্বিতীয় গোলে সেই সুযোগও নেই।

একেবারে চিরচেনা ভঙ্গিতে গোল; বাম দিক থেকে আসা সাদিও মানের ক্রসটা হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে জালে পাঠান পর্তুগিজ যুবরাজ। ২০২৫ সালটা আসলে পয়মন্ত হয়ে এসেছে তাঁর জন্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ছয় ম্যাচ খেলে প্রতিটাতেই গোল করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে সংখ্যাটা এখন দাঁড়িয়েছে সাতে।

তবে এই দুর্দান্ত ফর্মের শুরুটা হয়েছে আরো আগেই, গত কয়েক মাস থেকেই টানা গোল করে চলছেন রোনালদো। শেষ এগারো ম্যাচে ক্লাব এবং জাতীয় দল মিলিয়ে চৌদ্দ গোল করেছেন তিনি। এক হাজার গোলের অতিমানবীয় ক্লাবের দিকে কি অবিশ্বাস্য গতিতে ছুটছেন তিনি – ৯২৩ তো হয়েই গিয়েছে, আর অল্প একটু দূর।

চল্লিশের কোটায় পা দিয়েই ফেলেছেন এই মহারথী, এখন কেবল অবসরের ক্ষণ গণনা। তবু তিনি ছুটছেন সমস্ত ক্লান্তি পিছনে ফেলে; ছুটছেন এক মুঠো প্রেমের জন্য, ছুটছেন একবার কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে দৌড়ে গিয়ে সিইউউউ উদযাপনে পুরো বিশ্ব মাতানোর জন্য।

Share via
Copy link