এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের রান উৎসব চলছেই। এবার ব্যাট হাতে যদিও ঝড় তুললেন আবু হায়দার রনি। পুরাদস্তুর পেসার হলেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেন তিনিও। সিলেটের বিপক্ষে খেললেন ২৩ বলে ৪৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। যাতে বাউন্ডারি দুইটা, আর ছক্কা আছে পাঁচটা। অর্থাৎ ইনিংসের ৮০ শতাংশ রানই তিনি করেছেন বাউন্ডারি থেকেই।
২০১৫-১৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে আলোচনায় আসেন রনি। সেবার ১২ ম্যাচেই নিয়েছিলেন ২১ উইকেট। পায়ের পাতা উপড়ানো ইর্য়াকারে লেন্ডল সিমন্সকে ভূপতিত করে বোল্ড আউটের দৃশ্যটা আজও হয়ত চোখে ভাসে দর্শকদের। ১৮ বছরের তরুন আবু হায়দারকে নিয়ে অনেক স্বপ্নই হয়ত বুনেছিলেন দেশের ক্রিকেট সর্মথকেরা। তবে মাঝে ১০টি বছর কেটে গেলেও নিজেকে আর সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি তিনি।
তবে চলতি এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে চালাচ্ছেন প্রত্যাবর্তন চেষ্টা। ৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৫ উইকেট। মঙ্গলবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ইমরানুজ্জমানের উইকেট হারায় ঢাকা মেট্রো। ফর্মের তুঙ্গে থাকা নাইম শেখও ফিরে যান রান আউটের ফাঁদে পড়ে।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা মেট্রো। ৯১ রানেই পাঁচ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখান আবু হায়দার। ছক্কা আর চারের বন্যায় প্রতিপক্ষ সিলেটকে ভাসিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। দলকে এনে দিয়েছেন ১৫৬ রানের লড়াই করার মত পুজি।
পেসার খালেদ আহমেদের ১৮ তম ওভারটায় রীতিমতো তাণ্ডব চালান রনি। দুই চার, আর দুই ছক্কায় নেন ২১ রান। এরপরে আরেক তরুন পেসার তোফায়েল কেও হাঁকান দুই ছক্কা আর এক চার।
জাতীয় দলে পেসারদের এখন ছড়াছড়ি। ২৮ বছর বয়সে এসে আবারও আলোচনায় আসতে হলে পেস বোলিংয়ের সাথে বাড়তি কিছু যে করতে হবে তিনি নিশ্চয়ই হয়ত জানেন। সেখান থেকেই হয়ত ব্যাট হাতে ক্যামিওর এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কতদূর যেতে পারেন সেটি এখন সময়ের অপেক্ষা, তবে টেলেন্ডারে ফিনিশিংটা দিতে পারলে হয়ত এসেও যেতে পারেন নির্বাচকদের নজরে।