রুট ফিনিশেস অফ ইন স্টাইল

সাত বল বাকি থাকতে বাউন্ডারি দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে নেন। কোনো সন্দেহ ছাড়াই এটাকে ওয়ানডেতে রুটের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস বলা যায়, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস তো বটেই।

যে কাজটা তিনি সবচেয়ে ভাল পারেন, সেই কাজটাই আরেকবার করলেন। যেন শিল্পী সুলভ কোনো ব্যাটার তুলির আরেকটি আঁচড় দিয়ে গেলেন। তিনি জোসেফ এডওয়ার্ড রুট। সাদা বলের ক্রিকেটে ‘অ্যাঙ্কর’ রোলে ব্যাট করতে হলে কি করা উচিৎ, সেটা এই জমানায় রুটের চেয়ে ভাল আর কেই বা জানেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩০৮ রানের চাপে জো রুট অপর প্রান্ত থেকে সঙ্গ পেয়েছেন খুবই সামান্য। কিন্তু নিজের লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন। সহজাত স্ট্রোক খেলেছেন, ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়েছেন। অন্য ব্যাটারদের কেউ যেখানে হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি, সেখানে রুট একাই করেছেন ১৬৬ রান।

দলের বিপর্যয়ের মুখে হাল ধরেন। ১৩৩ রানে যখন পাঁচ উইকেটের পতন হয় ইংল্যান্ডের, তখন থ্রি লায়ন্সরা তখন কার্ডিফে চোখেমুখে সরষে ফুল দেখছিল। সেই সময়ে জো রুট দক্ষ নাবিকের মত ব্রিটিশ জাহাজ এগিয়ে নিয়ে গেলেন। পাল্টা আক্রমণ করলেন। হ্যারি ব্রুক আর উইল জ্যাকসের সাহায্যে রান তাড়ার দূর্দান্ত নজীর সৃষ্টি করলেন।

সর্বশেষ টেল এন্ডারদের সাথে নিয়ে নিশ্চিত করলেন জয়। অষ্টম উইকেট জুটিতে আদিল রশিদের সাথেও যোগ করেন ২৪ রান। সাত বল বাকি থাকতে বাউন্ডারি দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে নেন। কোনো সন্দেহ ছাড়াই এটাকে ওয়ানডেতে রুটের ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস বলা যায়, সর্বোচ্চ রানের ইনিংস তো বটেই।

ছবির মত সাজানো ইনিংসে ছিল ১৩৯ টি বল। ২১ টি বাউন্ডারি আর দু’টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস খেলার দিনে একমাত্র ইংলিশ ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে সাত হাজারি রানের ক্লাবেও পৌঁছে যান, ছাড়িয়ে যান দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকে।

Share via
Copy link