শেষ পর্যন্ত জো রুটকে ঘায়েল করতে পারল না অস্ট্রেলিয়া, ১৩৮ রান করে অপরাজিত থাকলেন এক প্রান্তে। ক্যারিয়ারের ৪০তম শতক পেয়েছেন এই ইনিংসের মাধ্যমে। তাতেই একটা প্রশ্ন ডালপালা মেলেছে, রুট কি ছাড়িয়ে যেতে পারবেন শচীন টেন্ডুলকারকে? উত্তরটাও, পারলে তিনিই পারবেন।
ব্যাটের ছায়াতলে বহুদিন ধরে আগলে রেখেছেন ইংলিশ ব্যাটিং অর্ডার। বিপদে তার উপরই সবচেয়ে ভরসা করে দল। ধারাবাহিকতা ধরে রাখা, প্রতিনিয়ত রান করে যাওয়া,সবকিছুতেই রুটের জুড়ি নেই। দ্বিতীয় টেস্টেও ক্যারিয়ারের হাইলাইটস দেখালেন মহাকাব্যিক এক শতক হাঁকিয়ে।
তবে সব ছাপিয়ে সবার চোখ আটকে আছে একটা পরিসংখ্যানে। রুটের শতক সংখ্যাটা যে ৪০টি। আর মাত্র ১২ হলেই তো কিংবদন্তি শচীনকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। সামনে অবশ্য নাম আছে আরও দুইজনের, জ্যাক ক্যালিস এবং রিকি পন্টিং। ক্যালিসের শতক সংখ্যা ৪৫ আর পন্টিংয়ের ৪১। যদিও রানের হিসাবে রুট ছাড়িয়েছেন দুজনকেই।

টেস্ট ক্রিকেটে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক যে তিনিই। তবে রুট নিশ্চয় চাইবেন সবার উপরে থেকেই শেষ করতে, শচীনের ৫১ সেঞ্চুরি টপকে যেতে। তবে সেটার সম্ভাবনা বাস্তবিক অর্থে কতটা?
রুটের বয়সটা এখন ৩৪ বছর ৩৪০ দিন। অর্থাৎ ৩৫ ছুঁইছুঁই। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেলে পা রেখেছেন ইতিমধ্যেই। তবে চোখেমুখে ক্লান্তির বিন্দুমাত্র রেশ এখনও নেই। এখনও ব্যাট হাতে যথেষ্ট ধারাবাহিক তিনি, ধার কমেনি একটুও।
তবে শচীনের ৫১ শতক টপকাতে হলেও যে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে রুটকে। শেষ বেলায় ক্লান্তির ছাপ মুছতে একটা ধাক্কা দিতে হবে নিজেকে। যে ফিটনেস রুটের আছে, আপাতদৃষ্টিতে তিনি ৩৮ বছর পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন অনায়াসেই। সেক্ষেত্রে ৩০-এর উপরে ম্যাচ খেলার সুযোগও তিনি পাবেন। সেই সঙ্গে ধরে রাখতে হবে ধারাবাহিকতাটাও। তবেই ১২টি শতকের ছোঁয়া পেলেও পেতে পারেন তিনি।

পথ অতটা মসৃণ নয় ঠিকই, তবে পাড়ি দেওয়া একেবারেই অসম্ভব নয়। রুট যদি শেষ বেলায় আপ্রাণ চেষ্টা চালান হয়তো টেস্ট ইতিহাসের সেরার আসনে বসবেন তিনি। সবটা দিয়েই নিজেও বোধহয় এটাই চাইবেন রুট।











