মনে রেখো আমিও ছিলাম

এরপর জাতীয় দলে ফেরার আশা পুরোপুরি নিভে যাওয়ায় ২০১৮ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান রুদ্র। মাত্র ৬ বছরের ক্যারিয়ারে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি আর। তবে তিনি যে সময়ে ক্রিকেটে এসেছিলেন বেশ কিছু তরুণ প্রতিভাবান তখন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি ছিলেন একজন! তাদের মধ্যে অনেকেই ক্যারিয়ারে নিজেকে সেরা অবস্থানে নিয়ে গেলেও পারেননি আরপি সিং। ইনজুরির পর জাতীয় দলে আর উঠে দাঁড়াতেই পারেননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পরও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর সংক্ষিপ্ত অধ্যায় হতে পারে আক্ষেপের কারণ!

২০০৭ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ফাইনালে পাকিস্তানকে পাঁচ রানের হারিয়ে ভারতের জয়। শেষ ওভারে মিসবাহ উল হকের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান পেসার যোগিন্দর শর্মা। সেদিন ইরফান পাঠানও ১৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তবে সবকিছুর আড়ালে ছিলেন ওই টুর্নামেন্টেই অভিষিক্ত এক পেসার! হ্যাঁ, আরপি সিং।

ফাইনালে পাকিস্তানের টপ অর্ডারে ফাটলটা তিনিই ধরিয়েছিলেন। ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া আরপি সিং ওই বিশ্বকাপে ১২ উইকেট শিকার করে যৌথভাবে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারি নির্বাচিত হন। ২০০৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের প্রসঙ্গ আসলে গৌতম গম্ভীর, যোগিন্দর শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের নাম আসলেও টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা আরপি সিং থেকে যান আড়ালেই।

ফাইনালে পাকিস্তানের টপ অর্ডারে ফাটলটা তিনিই ধরিয়েছিলেন। ৪ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট নেওয়া আরপি সিং ওই বিশ্বকাপে ১২ উইকেট শিকার করে যৌথভাবে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারি নির্বাচিত হন। ২০০৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের প্রসঙ্গ আসলে গৌতম গম্ভীর, যোগিন্দর শর্মা, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের নাম আসলেও টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা আরপি সিং থেকে যান আড়ালেই।

গত এক দশককে ভারতীয় পেস বোলিংয়ের স্বর্ণযুগ বলা যায়। গেলো কয়েক বছরে ভারতীয় পেস অ্যাটাকের যারা নেতৃৃত্ব দিয়েছেন এদের বেশিরভাগই উঠে এসেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো আর আইপিএলের কারণে। বর্তমানে বিশ্বের সেরা পেস অ্যাটাকে সবার উপরের দিকেই থাকবে ভার‍ত।

তবে এর আগে পাকিস্তানের পেস বিভাগে যে ক’জন নাম ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জহির খান, আশিষ নেহেরা, ইরফান পাঠান। আর তাদের সাথেই এক সময় ভারতের পেস বিভাগের কাণ্ডারি ছিলেন আরপি সিং। সেসময় পেস বিভাগের গুটিকয়েক তারকাদের একজন ছিলেন তিনি।

গায়ের গড়ন বেশ লম্বা চড়া। বোলিংয়ের বিশেষত দিক হলো অসাধারণ স্যুইং মুভমেন্টের সাথে বাউন্স জেনারেট করতে পারা। আর তাঁর এই প্রতিভা চোখ এড়ায়নি সে সময়ের ভার‍তের কোচ গ্রেগ চ্যাপেলের। ইরফান পাঠান, আরপি সিং, সুরেশ রায়নাদের উঠে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান কিন্তু গ্রেগ চ্যাপেলেরই।

ভারতীয় ক্রিকেট তখন ফিক্সিং কাণ্ডে জর্জরিত। সৌরভ গাঙ্গুলি পুরো দলকেই ঢালাওভাবে সাজিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে আবারো গড়ে তুলেছিলেন পুরো দলকেই। ২০০৫ সালে গ্রেগ চ্যাপেল দায়িত্ব নেবার পর তরুনদের সুযোগ করে দিতে বেশ কিছু প্রতিভাবানকে তুলে এনেছিলেন তিনি। তাদের মধ্যেই একজন ছিলেন আরপি সিং। অবশ্য আরপি সিংয়ের ক্রিকেটের এই জার্নিটা শুরু হয় তারও বছর পাঁচেক আগে।

সাল ২০০০। ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক থাকায় ১৫ বছর বয়সে আরপি সিংয়ের বাবা তাকে ভর্তি করিয়ে দেন গুরু গোবিন্দ সিং স্পোর্টস কলেজে। সেখানেই তাঁর সাথে পরিচয় হয় সুরেশ রায়নার! দু’জনেই পরবর্তীতে একসাথে খেলেন ভারত জাতীয় দলের হয়ে। গুরু গোবিন্দ কলেজ থেকেই ২০০৩ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রঞ্জি ট্রফিতে উত্তর প্রদেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়ে যান আরপি।

ওহ! আরপি সিংয়ের পুরো নাম কিন্তু রুদ্র প্রতাপ সিং। তবে, ক্রিকেট পাড়ায় তিনি আরপি সিং নামেই পরিচিত। একটা অবাক করা ব্যাপার হলো আরপি সিংয়ের আগেও ১৯৮৬ সালে রুদ্র প্রতাপ সিং নামের একজন ভারতের হয়ে খেলেছিলেন। তিনিও বাঁ-হাতি পেসার ছিলেন! এমনকি তিনিও উত্তর প্রদেশের হয়েই খেলেছেন। যার কারণে তাকে রুদ্র প্রতাপ সিং সিনিয়র হিসেবেই ডাকা হয়।

২০০৩ সালে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেকের পরের বছর ২০০৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে খেলেন আরপি। যেখানে টুর্নামেন্টে তিনি ৮ উইকেট শিকার করে ভারতকে সেমিফাইনালে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। ওই বছরই রঞ্জি ট্রফিতে ৬ ম্যাচে ৩৪ উইকেট শিকার করে সবার নজর কাঁড়েন আরপি। সেসময় ভারতের কোচ হিসেবে নতুন দায়িত্ব নিয়েছেন গ্রেগ চ্যাপেল। তরুণদের খুজে আনাই ছিলো তাঁর মূল লক্ষ্য। সেই ধারাবাহিকতায় আরপি সিং’য়ে মুগ্ধ হন তিনিও।

৪ সেপ্টেম্বর ২০০৫। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষক্ত হন তিনি। অভিষেক ম্যাচেই শিকার করেন দুই উইকেট। নিজের খেলা তৃতীয় ওয়ানডেতেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শিকার করেন ৩৫ রানে ৪ উইকেট। আর নির্বাচিত হন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ। ওয়ানডেতে বেশ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে লাগলেন তিনি। পরের বছরই ২০০৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন তিনি। এই ফয়সালাবাদেই কিনা ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ক্রিকেটার কপিল দেব ক্যারিয়ার শুরু করেন।

অভিষেক ম্যাচেই পাঁচ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন আরপি। এরপর রঙিন জার্সিতে কিছুটা বাজে ফর্মে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ না পেলেও আরপি সিং ম্যাজিক দেখান ঐতিহাসিক লর্ডসে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করে নাম তুলেন লর্ডসের অনার্স বোর্ডে। হ্যাঁ, যে অনার্স বোর্ডে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নাম তুলতে পারেননি কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের মতো অনেক কিংবদন্তি তারকা ক্রিকেটারও!

আরপির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই ২১ বছর পর ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয় পায় ভার‍ত। এরপর ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অভিষেকের পরই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ১৩ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ৪ উইকেট! এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে তাকে প্রথম ক্রিকইনফো অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

যত খারাপ উইকেটই হোক না কেনো ইনস্যুইং আর বাউন্সার সহজেই আদায় করতে পটু ছিলেন আরপি সিং। পুরাতন বলেও করতেন রিভার্স স্যুইং। তবে ঘরের মাটিতে আরপি বরাবরই ছিলেন সাদামাটা। ঘরের মাঠে খেলেছেনও মাত্র দুই টেস্ট! ২০০৮ সাল থেকেই ক্যারিয়ারে ভাটা পড়ে রুদ্রর।

ওই বছর টেস্টে সাদামাটা পারফরম্যান্সের পরই দল থেকে বাদ পড়লেন! ওয়ানডেতে সুযোগ পেলেও ২০০৯ সালে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর সেখানেও জায়গা হারান তিনি। মাঝে ইনজুরিতেও কিছু সময় ছিলেন বাইরে।

২০০৯ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ১৬ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন আরপি। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সেবার ডেকান চার্জারস শিরোপা জয় করে। এই পারফরম্যান্স তাকে টেনে নেয় ২০০৯ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে।

তবে মাত্র দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি! ২ ম্যাচে ৫ ওভার বল করে ৩৪ রানে ২ উইকেট নেওয়া আরপি আর কখনোই টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাননি। অবাক করা ব্যাপার হলো ক্যারিয়ারে খেলা ১০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সবগুলোই ছিলো বিশ্বকাপ আসরে! এছাড়া কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজে জায়গা পাননি তিনি।

টেস্টে ২০০৮ এর পর ২০০৯ সালে বাকি দুই ফরম্যাটেও জায়গা হারান আরপি সিং! টি-টোয়েন্টিতে জুতসই বোলিং করলেও থিতু হতে পারেননি জাতীয় দলে। ইশান্ত শর্মা, শ্রীশান্ত, উমেশ যাদব, প্রভিন কুমার, আশিষ নেহরাদের ভিড় ঠেলে আর সামনে এগোতে পারেনি আরপি।

টি-টোয়েন্টিতে আর ফিরতেই পারেননি। তবে ফিরেছিলেন টেস্ট এবং ওয়ানডেতে। বছর তিনেক বাদে ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট সিরিজে ডাক পান তিনি। চার ম্যাচে সিরিজ ৩-০ তে এগিয়ে স্বাগতিকরা। দলে তখনো জায়গা হয়নি আরপির।

ওভালে শেষ টেস্টে প্রবীন কুমারের ইনজুরিতে একাদশে জায়গা মেলে আরপির। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামে ইংলিশরা। প্রথম ওভারেই আরপির হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক ধোনি। আর সেই ওভারেই হয়ে গেলেন ভিলেন! প্রথম ওভারের পাঁচটি বলই লেগ সাইড দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর এতেই বেশ সমালোচনার জন্ম দেন আরপি!

প্রথম দিনে লাঞ্চ বিরতিতে এক সাক্ষাৎকারে সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ইয়ান বোথাম বলেন, ‘কোনো টেস্টের প্রথম ওভার এর চেয়ে বাজে দেখিনি।’ আর আরপি সিংয়ের জায়গায় কেনো মুনাফ প্যাটেলকে কেনো নেওয়া হয়নি সে নিয়েও প্রশ্ন তুলেন বোথাম। অবশ্য শুধু বোথামই নয় সমালোচনা করেছিলেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামও। আকরাম বলেন, ‘সে গত জানুয়ারি থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেনি। আর তাকে দিয়ে নতুন বলে বল করাচ্ছেন আপনি?’

ওই টেস্টে ৩৪ ওভার বল করে ১১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেটই শিকার করতে পারেননি আরপি। আর ক্যারিয়ারে এরপর আর সাদা পোশাকে ফিরতেও পারেননি তিনি। অবশ্য একই সফরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে সুযোগ পান তিনি। শেষ তিন ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়ে ৬.৪৫ ইকোনমিতে চার উইকেট শিকার করেন আরপি। যার মধ্যে লর্ডসে ৫৯ রানে তিন উইকেট নেন তিনি! এরপর আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি তাঁকে।

জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও আইপিএলে খেলা চালিয়ে যান তিনি। আইপিএল ক্যারিয়ারে ৮২ ম্যাচে শিকার করেন ৯০ উইকেট। তবে ২০১৬ সালের পর আইপিএলেও আর জায়গা হয়নি এই পেসারের। অবশ্য এর মাঝে ২০১৩ আসরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানোর অভিযোগ উঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে পরবর্তীতে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। ২০১৭ সালে লিস্ট এ ক্যারিয়ার থেকেও বিদায় নেন রুদ্র প্রতাপ সিং।

৯৪ ম্যাচে যেখানে শিকার করেছিলেন প্রায় ৪০০ উইকেট! ১২ বার শিকার করেন পাঁচ উইকেট। সাদা পোশাকে ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ৪০ উইকেট, যার মধ্যে ঐতিহাসিক লর্ডসে শিকার করেছেন ক্যারিয়ার সেরা ৫৯ রানে পাঁচ উইকেট। ৫৮ ওয়ানডেতে ৬৯ ও ১০ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৮২ ম্যাচে নিয়েছেন ১২৪ উইকেট।

তবে টেস্টে ৩.৯৮, ওয়ানডেতে ৫.৪৮ ইকোনমি রেট প্রমাণ করে এই দুই ফরম্যাটেই তিনি ছিলেন তুলনামূলম খরুচে। তবে কিপটে বোলিং করা টি-টোয়েন্টিতেই কিনা তিনি ক্যারিয়ার লম্বা করতে পারেননি। ৬.৮ ইকোনমিতে বল করা টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন মোটে ১০ ম্যাচ। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৬২ ম্যাচে নিয়েছেন ৬৩৭ উইকেট। ক্যারিয়ারে একবারই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়েছেন দশ উইকেট।

এরপর জাতীয় দলে ফেরার আশা পুরোপুরি নিভে যাওয়ায় ২০১৮ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানান রুদ্র। মাত্র ৬ বছরের ক্যারিয়ারে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি আর। তবে তিনি যে সময়ে ক্রিকেটে এসেছিলেন বেশ কিছু তরুণ প্রতিভাবান তখন জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন।

এর মধ্যে তিনি ছিলেন একজন! তাদের মধ্যে অনেকেই ক্যারিয়ারে নিজেকে সেরা অবস্থানে নিয়ে গেলেও পারেননি আরপি সিং। ইনজুরির পর জাতীয় দলে আর উঠে দাঁড়াতেই পারেননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পরও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর সংক্ষিপ্ত অধ্যায় হতে পারে আক্ষেপের কারণ!

এর মধ্যে তিনি ছিলেন একজন! তাদের মধ্যে অনেকেই ক্যারিয়ারে নিজেকে সেরা অবস্থানে নিয়ে গেলেও পারেননি আরপি সিং। ইনজুরির পর জাতীয় দলে আর উঠে দাঁড়াতেই পারেননি তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনবদ্য পারফরম্যান্সের পরও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর সংক্ষিপ্ত অধ্যায় হতে পারে আক্ষেপের কারণ!

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...