দিনের প্রথম ম্যাচে রান বন্যা দেখা গিয়েছিল, দ্বিতীয় ম্যাচে সেটারই যেন পুনরাবৃত্তি ঘটলো। দুই ইনিংসেই ব্যাটারদের আধিপত্য ছিল। তবে চার ছক্কার লড়াইয়ে জিতেছে রংপুর রাইডার্স; দুই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদী হাসানের বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের কল্যাণে ৭৯ রানে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে তাঁরা।
আগে ব্যাট করতে শুরুতে অবশ্য লুক উডের তোপের মুখে পড়েছিল রংপুর। গতি আর সুইংয়ের বদৌলতে দুই ওপেনার রনি তালুকদার আর রিজা হেন্ড্রিকসকে ফিরিয়েছেন তিনি। কিন্তু এরপরের গল্পটা কেবলই ব্যাটারদের, আরো স্পষ্ট করে বললে সাকিব এবং মেহেদীর। এই দু’জনে বাইশ গজে এসেই স্রেফ তুলোধুনো করেছেন বোলারদের।
মাত্র বিশ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, আউট হওয়ার আগে ছয় চারের পাশাপাশি ছয়টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩১ বলে করেছেন ৬৯ রান। তিনি আউট হওয়ার পরেও রানের গতি ধরে রেখেছেন মেহেদী, ২৭ বলে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন তিনি। যদিও ৬০ রানের মাথায় থামতে হয় তাঁকেও।
ফিনিশারের ভূমিকায় পুনরায় ঝড় তোলেন নুরুল হাসান সোহান। শেষপর্যন্ত তাঁর ১৩ বলে ৩২ রানের ক্যামিওতে ২১৯ রানের বিশাল পুঁজি পায় টিম রাইডার্স।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে খুলনার কেউই আসলে সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। তৃতীয় ওভারেই সাকিবের বলে এলবিডব্লু আউট হন এভিন লুইস; এরপর ত্রাস হয়ে আবির্ভূত হন ইমরান তাহির। এই বর্ষীয়ান লেগ স্পিনার একাই তুলে নেন চার উইকেট, তাঁর এমন বোলিংয়েই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বিজয়ের দল।
যদিও ব্যতিক্রম ছিলেন ইংলিশ তারকা অ্যালেক্স হেলস, চলতি বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নেমেই মারকুটে ব্যাটিং করেছেন তিনি। ২৪ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি; কিন্তু অবিশ্বাস্য কিছু করতে পারেননি, তাহিরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ৬০ রান করে। নিজের শেষ ওভারে আবার হাবিবুর রহমান সোহানকে আউট করে ফাইফার পূর্ণ করেছেন এই প্রোটিয়া কিংবদন্তি।
লোয়ার মিডল অর্ডারে উড চেষ্টা করেছেন ব্যবধান কমানোর, তবে তাঁকে তেমন কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষপর্যন্ত সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানেই গুটিয়ে যায় টিম টাইগার্স, ফলতঃ টানা চতুর্থ ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পায় দলটি।