রংপুরের হাসি কেড়ে নিলেন আন্দ্রে রাসেল

অবশেষে পরাজয়ের মুখ দেখলো রংপুর রাইডার্স, একের পর এক ম্যাচ জিতে আধিপত্য বিস্তারের পর তাঁদের মাটিতে নামিয়ে আনলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিং আর বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের দিনে ছয় উইকেটে জিতেছে লিটন দাসের দল।

আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুর অন্য অনেকদিনের মতই শুরুতে ব্রেন্ডন কিংয়ের উইকেট হারিয়ে বসে। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারও বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি। অন্যদিকে চার নম্বরে শেখ মেহেদীকে পাঠানো হলেও সেই কৌশল কাজে লাগেনি। ৩৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে টেনে তুলতে পারেননি অধিনায়ক সোহান।

তবে সাকিবের সঙ্গে জেমস নিশামের জুটি গড়ে উঠলে প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিতে উঠতে সক্ষম হয় তাঁরা। এই দু’জনের ২৯ রানের জুটি ভেঙে গেলে টম মুরসকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় সংগ্রহে আরো ২২ রান যোগ করেন নিশাম। কিন্তু এরপরই আবার ব্যাটিং ধ্বসের মুখোমুখি হয় টিম রাইডার্স, ১০৭ রানে নয় উইকেটের পতন ঘটে তাঁদের।

কিন্তু একপ্রান্ত আগলে কিউই অলরাউন্ডার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করেন। দশম উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন, যেখানে তাঁর অবদান ছিল প্রায় পুরোটাই। শেষপর্যন্ত ৪২ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি, তাতেই ১৫০ রানের পুঁজি জমা হয় বোর্ডে।

রান তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন সুনীল নারাইন। কিন্তু একই ওভারে নারাইন আর তাওহীদ হৃদয়কে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন সাকিব, যদিও আরেক ওপেনার লিটন ঠিকই দলকে ধরে রাখেন জয়ের পথে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের সঙ্গে তাঁর ৬৫ রানের জুটিতেই ফলাফল অনেকটা নির্ধারণ হয়ে যায়।

তবে পরপর দুই ওভারে দুই সেট ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরলে আবারো ব্যাকফুটে চলে যায় কুমিল্লা। অবশ্য দুই তারকা অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলী বাইশ গজে থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়নি তাঁদের। বিশেষ করে রাসেল রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিয়েছেন বোলারদের উপর।

শেষপর্যন্ত তাঁর ১২ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ১৪ বল আর ছয় উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা – এই জয়ে অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙ্গলো রংপুর রাইডার্সের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link