গত আসরে প্রথমবারের মত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অধিনায়কত্ব করেছিলেন রুতুরাজ গায়কড়। দলকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দারুণ পারফরম করেছেন তিনি। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া তাই অনিবার্য ছিল, হয়েছেও তাই। আর সেই সুযোগ লুফে নিয়ে মনে রাখার মত একটা ইনিংসই খেললেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মূল স্কোয়াডের প্রায় সবাইকে বিশ্রামে রেখে দল দিয়েছিলেন নির্বাচকরা। আর সেখানে টপ অর্ডার ব্যাটার হিসেবে জায়গা এই ডানহাতির। প্রথম ম্যাচে অবশ্য ভাল করতে পারেননি; নয় বলে সাত রান করেই থেমে গিয়েছিলেন। তবে পরের ম্যাচে ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন।
এদিন তিন নম্বরে নেমে এই ব্যাটার খেলেছেন ৪৭ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। ভারতের দলীয় সংগ্রহ যে দুইশ ছাড়িয়ে পাহাড়সম হয়েছে সেটার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে তাঁর। আর এমন সংগ্রহের নিচে চাপা পড়েছে জিম্বাবুয়ে; শত রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে তাঁরা।
দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ক শুভমান গিল আউট হলে ক্রিজে আসেন রুতুরাজ। অন্যপ্রান্তে তখন অবশ্য টর্নেডো বইয়ে দিচ্ছিলেন অভিষেক শর্মা। তাই তো তাঁকে খানিকটা নীরবে সঙ্গ দেয়ার কাজটাই করে গিয়েছেন তিনি। তবে সময়ের সাথে তাঁর ব্যাটেও ঝড়ের সূচনা ঘটে, ৩৮ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন।
শেষদিকে রিংকু সিং নিজের স্বভাবসুলভ ফিনিশং উপহার দিয়েছেন। তবে টিম ইন্ডিয়ার নাম্বার থ্রি-ও কম যাননি। টেন্ডাই চাতারার এক ওভার থেকে ১৯ রান আদায় করে মোমেন্টাম পুরোপুরি নিজেদের করে নিয়েছিলেন।
ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে উদীয়মান প্রতিভার কোন অভাব নেই। তবে এত এত প্রতিভার মাঝেও দায়িত্বশীলতা আর ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য দেখিয়ে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন এই তারকা। ঘরোয়া ক্রিকেটে ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমাণ করেছেন তিনি। এখন শুধু নীল জার্সিতে এগিয়ে যাওয়ার পালা, বিরাট-রোহিতের শূন্যতা পূরণের পালা।