২০১৪ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজা অধিনায়ক হওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল সাব্বির রহমান রুম্মানের। মাশরাফির অধিনায়কত্বে পরের পাঁচ বছর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিতই খেলেছেন তিনি। এমনকি এই মাশরাফির হাত থেকেই ওয়ানডে অভিষেকের ক্যাপটা পেয়েছিলেন সাব্বির।
এখন মাশরাফি ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছেন। অনেক প্রতিভা নিয়ে আসা সাব্বির রহমানও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। গত বছরের মার্চে মাশরাফি নেতৃত্ব ছাড়ার আগেই অবশ্য দল থেকে বাদ পড়েছেন এই ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের অধিকাংশ ম্যাচই মাশরাফির নেতৃত্বে খেলা সাব্বির রহমানকে মাশরাফি সব সময় আগলে রাখতেন। খেলা ৭১-এর সাথে একান্ত আলাপে সাব্বির রহমান জানিয়েছেন অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে তিনিও তার চাওয়া সব সময়ই পূরণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আগলে রাখতেন বলতে, উনি আমাকে বুঝতো। ওনার সার্ভিসটা আমি সব সময় দিয়েছি। কারণ ছয় বছর খেলেছি ওনার অধীনেই খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় যে ওনাকে মিস করাটা বড় বিষয় না কিন্তু উনি একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড় আমাদের সব সময় ভালোবাসতেন, বোঝাতেন, কথা বলতেন, আগলে রাখতেন।’
জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচও মাশরাফির নেতৃত্বেই খেলেছেন সাব্বির রহমান। ২০১৯ সালের জুনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শেষে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। মাশরাফির অধীনে খেলা সৌভাগ্য ছিল জানিয়ে এই ব্যাটসম্যান বলেছেন এখন মিস করেন তাকে।
সাব্বির বলেন, ‘সব কিছু মিলিয়ে উনি একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়, মেন্টালি অনেক সমর্থন পাইতাম ওনার কাছে থেকে। অবশ্যই মিস করি। ওনার নেতৃত্বে খেলা আমার সৌভাগ্য ছিলো। খুব গর্ব লাগতো খেলতে।’
বাদ পরার পর থেকেই জাতীয় দলের রাডারে নেই এই ব্যাটসম্যান। করোনার কারণে গত বছরের মার্চ থেকে ঘরোয়া ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাওয়াতে নিজেকে প্রমাণের তেমন সুযোগও পাননি তিনি। সাব্বির জানিয়েছেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা ব্যস্ত সময় পার করায় এই সময় কারো সাথে কথাও হয়নি তেমন।
এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘পরামর্শ বলতে সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে। এ জন্য কথা হয় না কারো সাথে। টুকটাক হাই হ্যালো হয়।’
দল থেকে বাদ পড়ার আগে ৬৬ টি ওয়ানডে, ৪৪ টি টি-টোয়েন্টি ও ১১ টি টেস্ট খেলেছেন সাব্বির রহমান। ওয়ানডেতে ২৫.৬০ গড়ে সাব্বিরের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩৩৩ রান এবং ১১ টেস্টে তাঁর সংগ্রহ ২৪.১০ গড়ে ৪৮১ রান ও টি-টোয়েন্টিতে ৪৪ ম্যাচে ২৪.৯০ গড়ে করেছেন ৯৪৬ রান।