হৃদয় কাঁপালেন, আক্ষেপ বাড়ালেন সাব্বির

ক্রিজে ছিলেন স্রেফ ৪৮ মিনিট। এতেই  নামের পাশে যুক্ত হয়ে গেছে ৫৩ রান। ৪৩ বলে হাঁকিয়েছেন সমান চারটা করে চার আর ছক্কা। শুরুটা করেছিলেন সাব্বির হোসেনকে অফড্রাইভে লং অন দিয়ে চার মেরে।

সাব্বির রহমান মানে যেন কখনোই একঘেয়ে ক্রিকেট নয়। তিনি আসেন, ঝড় তোলে, ফের চলে যান। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের চলতি আসরে সেই সাব্বির আবারও যেন তার পুরানো স্বরূপে ফিরে এসেছেন। আজকের দিনে তার মতো এন্টারটেইনার পাওয়া সত্যিই কঠিন।

তাঁর ঝড় এতটাই নাভিশ্বাস ছড়ায় যে তাঁর রেশ রয়ে যায় অনেকক্ষণ। রয়ে যায় ভক্তদের আক্ষেপে ভরা হৃদয়ে, ঈশ! সাব্বির যদি আর একটু থাকতেন! ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয় জমজমাট আসরে তুলে নিলেন নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।

৩০০ রানের বিশাল টার্গেটে যখন ক্রিজে আসেন তখন ১৫ ওভারে রান মোটে ৫৪। প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন তিন ব্যাটার, দুইজনে আউট হয়ে আরেকজন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে। ম্যাচের প্রেশার না, রানের চাপ না, অধিনায়কত্বের ভার না। সাব্বির খেললেন সাব্বির সুলভ ইনিংস। প্রতিপক্ষ বোলার দেখলেন না, আমলে নিলেন না বাউন্ডারি লাইন নিয়েও। সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর ভেন্যুতে  প্রখর রোদে যেন আরও ঝলমলে হয়ে উঠলো তার ব্যাট।

ক্রিজে ছিলেন স্রেফ ৪৮ মিনিট। এতেই  নামের পাশে যুক্ত হয়ে গেছে ৫৩ রান। ৪৩ বলে হাঁকিয়েছেন সমান চারটা করে চার আর ছক্কা। শুরুটা করেছিলেন সাব্বির হোসেনকে অফড্রাইভে লং অন দিয়ে চার মেরে।

এরপরে চড়াও হয়েছেন নাহিদুল ইসলাম, নাজমুল অপু, হাসান মুরাদের উপর। ডিপ মিড উইকেট, ডিপ ব্যাকওর্য়াড স্কোয়ার লেগ, লং অন দিয়ে বলগুলোকে আছড়ে ফেলেছেন সীমানার বাইরে।

নাজমুল হাসান অপুর বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরার আগে যতটুকু ছিলেন ক্রিজে নাচিয়ে গেছেন প্রতিপক্ষকে। একবারের জন্যও টার্গেটটা পাহাড়সম লাগেনি। সাব্বির ফিরে গেছেন, দল ও হয়ত হেরে যাবে। কিন্তু প্রায় তারকাহীন দল নিয়েও এই যে সাব্বিরের ম্যাচ জয়ের চেষ্টা, চোখজুড়ানো বিনোদন এটাই তো সাব্বির। বহু প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খাতায় একরাশ মুগ্ধতার মায়াজাল।

 

Share via
Copy link