বড় মঞ্চে প্রত্যাশা যেমন বড় তেমনই চাপটাও তত বড়। আর এই চাপেই হয়তো নিজের আবেগ ধরে রাখতে না পেরে আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়ালেন শান্ত স্বভাবের সাই সুদর্শনও।
গুজরাট টাইটান্স বনাম মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ জুড়ে তখন টান টান উত্তেজনা। ম্যাচের ১৩ তম ওভারে বল হাতে এলেন ট্রেন্ট বোল্ড। ব্যাট তাকে সুদর্শন ৭৬ রান করে তখনও বাঁচিয়ে রেখেছেন গুজরাটের আশা।
ওভারের প্রথম দিকেই সুদর্শনের পরিকল্পনা ছিল বোল্টকে চাপে ফেলার। পিচে দাঁড়িয়ে, শরীর নামিয়ে স্কুপ করতে গিয়েছিলেন শর্ট ফাইন লেগের উপর দিয়ে। তবে ব্যাটে বলের ছোঁয়া না লেগে চলে যায় উইকেট কিপারের হাতে।

গ্যালারি, ডাগআউট, এমনকি ধারাভাষ্যকাররাও ধরে নিয়েছিলেন এটি হবে ওয়াইড। কিন্তু মাঠের আম্পায়ার রোহান পান্ডিত জানালেন—ওয়াইড নয়! যুক্তি ছিল— ‘যদি ব্যাটসম্যান নিজের জায়গায় থাকতেন, তবে বল শরীরে লাগত।’
সুদর্শনও চুপ থাকলেন না। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিলেন। টিভি আম্পায়ার বিরেন্দ্র শর্মাও রায় দিলেন মাঠের আম্পায়ারের পক্ষেই। হতাশা ঝরে পড়ল সুদর্শনের চোখে-মুখে, এগিয়ে গেলেন আম্পায়ারের দিকে, কয়েকটি বাক্য চালাচালি হল। বলটি রয়ে গেল ডট, কিন্তু বিতর্ক রয়ে গেল আরও অনেক সময়।
পরে অবশ্য ওভারের বাকিটা সময় নিয়ন্ত্রণ নেয় গুজরাট। ওয়াশিংটন সুন্দর হাঁকালেন দুইটি ছয় এবং একটি চার, ওই ওভার থেকে এলো ১৮ রান। এরপর থেকেই গুজরাটের ছন্দপতন শুরু।

রিচার্ড গ্লিসনের একটি বল আবারও সেই স্কুপ করতে গিয়েই বোল্ড হন সাই সুদর্শন। ৪৯ বলে ৮০ রান করে থেমে যায় তার ইনিংস। সুন্দরও আউট হয়ে গেছেন আগের ওভারে। দুজনের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই গুজরাটের জয়ের স্বপ্নও যেন কুয়াশার মতো মিলিয়ে গেল।
তবে ম্যাচ শেষে আলোচনার কেন্দ্রে ফলাফল নয়, বরং সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তই। ওয়াইড ছিল না কি আম্পায়ার সঠিক ছিলেন? তর্ক চলতেই থাকবে। তবে শান্ত স্বভাবের সাই সুদর্শনের মেজাজ হারানো প্রমাণ করে সেই একটা ওয়াইড বল তখন কতটা মূল্যবান ছিল।











