সাইফ-জিসানের প্রস্থানে ছায়া দলের ধূসরতার আবরণ

জিসান ও সাইফ মিলে পাকিস্তানের সেই আগ্রাসনের জবাব দিতে থাকলেন ব্যাট হাতে। সাইফ অর্ধশতকের দেখা পেলেও জিসান পারেননি।

সাইফ হাসান আউট হওয়ার পরই যেন সমস্ত সম্ভবনার মৃত্যু ঘটে। ২২৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করার প্রয়াশ তিনি দেখিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যাট হাতে। তার সাথে জিসান আলমও বিধ্বংসী ব্যাটারের যথার্থতা প্রমাণ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি সবই লবডঙ্কা। বাংলাদেশ হেরে গেছে ৭৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।

টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনস ও বাংলাদেশ এ দল। পাকিস্তান শাহিনস রীতিমত বুঝিয়েছে টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং কাকে বলে। খাজা নাফে ও ইয়াসির খানের তাণ্ডব অব্যাহত থাকে একেবারে শেষ অবধি। এতে করে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় ২২৭ রান।

নাফে ও ইয়াসিরের ফিফটি ছাড়াও আবদুল সামাদের আক্রমণাত্মক ফিফটি পাকিস্তানের পাইপলাইনের দৃঢ়তা প্রকাশ করেছে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাঈম শেখ ফেরেন দ্রুতই। তারপরই জিসান ও সাইফ মিলে পাকিস্তানের সেই আগ্রাসনের জবাব দিতে থাকলেন ব্যাট হাতে। সাইফ অর্ধশতকের দেখা পেলেও জিসান পারেননি।

১৭ বলে ৩৩ রান করে আউট হন জিসান। কিন্তু তখনও আশার মৃদু আলো জ্বেলে রেখেছিলেন সাইফ। খুব বেশি আলোচনা সাইফকে নিয়ে হয় না। তবে টি-টোয়েন্টি নেহায়েত খারাপ খেলেন না। স্পিনারদের একহাত দেখে নেওয়ার দারুণ দক্ষতা রয়েছে তার।

পাকিস্তানি স্পিনারদের তুলোধুনো করলেন তিনি ১৭৮ স্ট্রাইকরেটে। ৩২ বলে ৫৭ রানের এই আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটা অব্যাহত থাকলেই ভিন্ন ফল পেতেও পারত বাংলাদেশ।

কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পর বাকি ব্যাটারদের স্থায়ীত্বকাল ছিল মাত্র ৫২ রান। রাকিবুল হাসান চোট আক্রান্ত হয়ে ব্যাট করতে নামেননি। যার ফলে ১৪৮ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশ এ দলের ইনিংস। বিশাল পরাজয় দিয়ে শুরু হল যাত্রা। শেষতক কতদূর যাবে বাংলাদেশের ছায়া দল- তা কেবল সময়ের অপেক্ষা।

Share via
Copy link