ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর একটা কথা আছে – রোনালদো রেকর্ডের পিছনে ছোটেন না, রেকর্ডই তাঁর পিছনে ছোটে। একই কথা যদি মোহামেদ সালাহর জন্য বলা হয়? সালাহর ফর্ম বিবেচনায় অবশ্য এতটুকুও বাড়াবাড়ি মনে হবে না সেটা। প্রিমিয়ার সবশেষ কবে তাঁকে দেখেছেন কোন গোল বা অ্যাসিস্ট ছাড়া ম্যাচ শেষ করতে?
লিগে শেষ কবে এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে সেটা বের করতে হলে ফিরে যেতে হবে গত অক্টোবরে। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে দল জিতলেও স্কোরবোর্ডে নাম তোলা হয়নি এই উইঙ্গারের। কিন্তু এরপর থেকে টানা দশ ম্যাচ গোল করাতে প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন তিনি। সবশেষ লেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচেও দারুণ একটা গোল করলেন। আর তাতেই একগাদা নতুন রেকর্ড যোগ হলো তাঁর ঝুলিতে।
লিভারপুলের হয়ে এদিন ক্যারিয়ারে ২৫০তম বারের মতো শুরুর একাদশে ছিলেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। আর এ মাইলফলক ছোঁয়ার ম্যাচে তাঁর গোল এবং অ্যাসিস্ট মিলিয়ে সংখ্যাটা হয় ২৫০। এর আগে ইংলিশ লিগে মাত্র চারজন কোন একটা ক্লাবের হয়ে এত গোলে অবদান রাখতে পেরেছিলেন।
এছাড়া হোম ম্যাচে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়েছে সালাহর, এর মধ্যে ৯৮টাই তিনি করেছেন অ্যানফিল্ডে। বাকি দুই গোল এসেছে চেলসির জার্সি গায়ে। – তাঁর এতসব রেকর্ড গড়ার ম্যাচে লিভারপুলও পেয়েছে বড় জয়। শুরুতে জর্ডান আয়িউয়ের গোলে পিছিয়ে পড়লেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল দলটা।
বিরতির ঠিক আগে অলরেডদের সমতায় ফেরান কডি গ্যাকপো। বিশ গজ দূর থেকে তাঁর বাঁকানো শট শৈল্পিকভাবে জড়িয়ে যায় জালে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবার গোল করেন কার্টিস জোনস; সবমিলিয়ে মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ‘কামব্যাক’ করে লিভারপুল – আর সেই কামব্যাকের নায়ক দুই গোলেই অ্যাসিস্ট করা অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।
যদিও শেষদিকে গোল করে লাইমলাইট ঠিকই দখল করে নিয়েছেন সালাহ। তবে দলের সবাই পারফরম করবে এটাই তো প্রত্যাশিত। এভাবেই সালাহ, ম্যাক অ্যালিস্টারদের কাঁধে চেপে এগিয়ে যাচ্ছে দলটা – সবার চেয়ে দ্রুত আর সুন্দরভাবে।