এশিয়া অঞ্চলে ক্রিকেটের নতুন এক দুর্গ হয়ে উঠছে নেপাল; পাহাড়ে ঘেরা দেশটার ক্রিকেট দলে যখন উন্নতির ছোঁয়া লেগেছিল তখনি শোনা যায় অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত একটা সংবাদ। তাঁদের সবচেয়ে সেরা তারকার একজন সন্দীপ লামিছানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গত বছরের আগস্টে এক আদিবাসী নারী তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
দীর্ঘ সময় ধরে বিচার কার্য চলমান থাকার পর অবশেষে রায় দিয়েছে নেপালি আদালত। সব প্রমাণ এবং বিচারিক কার্যক্রম শেষে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন লামিছানে। চূড়ান্ত শুনানিতে বিচারক শিশির রাজ ধাকাল তাঁকে অপরাধী হিসেবে ঘোষণা দেন। যদিও কোন রূপ শাস্তি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি, শাস্তির ব্যাপারে জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত।
আলোচিত এই মামলার বাদী ১৭ বছরের আদিবাসী তরুণী। তিনি দাবি করেছিলেন যে, সামাজিক মাধ্যমে লামিছানের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে; একটা সময় দুজনে দেখা করার ব্যাপারে মনস্থির করেন। আর সেই সুযোগে লামিচানে তাঁর সম্ভ্রমহানি করেছেন। এরপরই নড়েচড়ে বসে নেপালি পুলিশ, গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয় এই লেগির বিরুদ্ধে।
সে সময় ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ব্যস্ত ছিলেন তিনি। তবে দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধার কথা জানিয়ে ফিরে আসেন, পরবর্তীতে থানায় আত্মসমর্পণও করেন। যদিও কিছুদিন পর বিচারক ধ্রুবরাজ নান্দা ও রামেশ ধাকালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাঁকে দুই লক্ষ রুপির বিনিময়ে জামিন মঞ্জুর করে; এরপর ক্রিকেটেও ফিরেছিলেন এই ডান-হাতি।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে দ্রুততম ৫০ উইকেটের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন সন্দীপ লামিছানে; আবার টি-টোয়েন্টিতে আছেন তিনে। খেলেছেন আইপিএল, বিপিএল, বিবিএল, সিপিএলের মত ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।
সব মিলিয়ে নেপালি ক্রিকেটের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কান্ডারি হওয়ার সবটুকু সামর্থ্য ছিল তাঁর – অথচ তিনিই কি না অমার্জনীয় ভুল করে বসলেন। আপাতত তাই ক্রিকেট নয়, এই স্পিনারকে ভাবতে হবে নিজের জীবন নিয়ে।