এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে নবমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত। অপরাজিত থেকে পুরো টুর্নামেন্ট শেষ করলেও সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, যা সাফল্যের উৎসবের মাঝেও চিন্তায় ফেলছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। কারণ, ২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা যে সময়ের দাবি।
প্রথমেই আসা যাক ওপেনিং জুটি প্রসঙ্গে। এশিয়া কাপে শুভমান গিলকে একাদশে ফেরাতে গিয়ে সঞ্জু স্যামসনকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল মিডল–অর্ডারে। কিন্তু ফল ভালো হয়নি কারোরই। সাত ইনিংসে গিল করতে পেরেছেন মাত্র ১২৭ রান। অন্যদিকে চার ইনিংসে স্যামসনের সংগ্রহ ১৩২ হলেও মিডল–অর্ডারে তার ব্যাটিং ছিল একেবারেই অস্বস্তিকর।
অথচ স্যামসন–অভিষেক শর্মার জুটি শুরুতে ভালোই ছন্দে ছিল। তাই বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে আবারও পুরোনো সেই জুটিতে ফেরার ব্যাপারে ভাবতেই হবে। সেক্ষেত্রে গিলকে বাদ দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এমনটা হলে মিডল–অর্ডারেও খালি হবে একটি আসন। সে জায়গায় সবচেয়ে যৌক্তিক নাম হতে পারে শ্রেয়াস আইয়ার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ২০২৫–এ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ১৭ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৬০৪ রান, গড় ছিল ৫০-এর ওপরে আর স্ট্রাইক রেট ছিল প্রায় ১৭৫।
অথচ এমন একজন ব্যাটারকে এশিয়া কাপে উপেক্ষা করেছে ভারত। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে যেখানে অভিজ্ঞতা ও ম্যাচ–উইনারের প্রয়োজন, সেখানে শ্রেয়াস আইয়ারকে ফিরিয়ে আনা ছাড়া বিকল্প নেই।
এবার আসা যাক বোলিং আক্রমণে। এশিয়া কাপে ভারতের পেস আক্রমণ বলতে ছিল শুধু জাসপ্রিত বুমরাহ। ফলে বুমরাহকে একাই সামলাতে হয়েছে সব চাপ। যার প্রভাব পড়েছে তার পারফরম্যান্সেও—পাঁচ ম্যাচে মাত্র সাত উইকেট শিকার করেছেন।

বিশ্বকাপে এমন ঝুঁকি নেওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। তাই এখন থেকেই দ্বিতীয় একজন বিশেষজ্ঞ পেসারকে তৈরি করতে হবে ভারতের। আর্শদীপ সিং সেই ভূমিকায় সেরা বিকল্প হতে পারেন।
সব মিলিয়ে এশিয়া কাপ জয় নিঃসন্দেহে ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। তবে এই সাফল্যের মাঝেও বেশ কিছু ত্রুটি ছিল চোখে পড়ার মত। আসল লড়াই সামনে—২০২৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাঁর আগেই ভুল গুলো নিশ্চয় শুধরে নিতে চাইবে টিম ইন্ডিয়া।











