শেষ ষোলর টিকিট নিশ্চিত করতে কাতারের বিপক্ষে কমপক্ষে ড্র প্রয়োজন ছিল নেদারল্যান্ডসের। কাতারের আল বাইত স্টেডিয়ামে খেলার প্রথম থেকেই ছন্দে ডাচরা। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে নেদারল্যান্ডস। আগের দুই ম্যাচের চেয়ে আরো বেশি ছন্দে,আরো বেশি গোছানো মনে হয়েছে লুই ফন গালের শিষ্যদের।
বল পজিশনে প্রায় ৮০ ভাগের কাছাকাছি ছিল নেদারল্যান্ডসের। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খেলায় কিছুটা ফিরতে পেরেছিল স্বাগতিকরা। যারা প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে সবার আগে। চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো নেদারল্যান্ডস। কাতারের গোলমুখে তৈরি হওয়া জটলার মধ্যে খুব কাছ থেকে শট নিয়েছিলেন ড্যালি ব্লিন্ড। কিন্তু সেই শট রুখে দিয়েছেন কাতারের গোলরক্ষক মেশাল বারশাম।
তবে দ্বিতীয় আক্রমন থেকে ঠিকই গোল আদায় করে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ২৬ মিনিটে বক্সেও মাথায় বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান থেকে জোড়ালো শটে গোল করেন কোডি গ্যাকপো। এবারের বিশ্বকাপে এই নিয়ে টানা ৩য় ম্যাচে গোল করেন গাকপো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ চালাতে থাকে নেদারল্যান্ডস। ফল পেতেও বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ৫০ তম মিনিটে ডি পাই দুর্দান্ত শট কাতারের গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলেও ফিরতি শটে গোল করেন ডি ইয়ং। নেদারল্যান্ডসের জার্সিতে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোল এটি ডি ইয়ং এর। এরপর একের পর এক আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না নেদারল্যান্ডস।
খেলার ৬৮ মিনিটে গোলের দেখা পেলেও ভিএআর এর সিদ্ধান্তে হ্যান্ডবলের জন্য বাতিল হয় সেই গোল। ম্যাচের বাকি সময় আরো আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি ডাচরা। তাই ২-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। এ ম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো লুই ফন গালের শিষ্যরা।
অন্যদিকে গ্রুপের ৩ টি ম্যাচেই হেরে বিশ্বকাপটি সুখকর হলো না স্বাগতিকদের। অন্যদিকে একই গ্রুপের আরেক ম্যাচে মাঠে নামে ইকুয়েডর আর সেনেগাল। ড্র করলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হবে এমন সমীকরণে খেলতে নামে ইকুয়েডর। অন্যদিকে জয় পেতেই হবে সেনেগালের। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ইকুয়েডরের বিপক্ষে দাপট দেখাতে থাকে আফ্রিকান দলটি।
ম্যাচের ৪২ মিনিটে খেই হারিয়ে ফেলে ইকুয়েডর। ইসমাইল সারকে ডি-বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন প্রিসাইডো। স্পট কিক থেকে গোল করে দলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন ইসমাইল সার। ৬৭ মিনিটে কাইসিডোর গোলে সমতায় ফিরলেও ৭০ মিনিটে কুলিবালির গোলে আবারো লিড নেয় সেনেগাল।
এরপর আর কোনো গোল না হলে ২-১ গোলে জয় নিশ্চিত হয় সেনেগালের। এ জয়ে গ্রুপ ‘এ’ এর ২য় দল হিসেবে নক আউটে গেলো সেনেগাল। সাদিও মানেকে ছাড়াই ২০ বছর পর নক আউট নিশ্চিত করলো আফ্রিকার প্রতিনিধিরা।