ভারতের তিন নম্বর পজিশন যেন এক পরীক্ষাগার

বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার অবসর এবং ঋষাভ পান্তের অফফর্ম - সব মিলিয়ে তিন নম্বর পজিশনটি নিয়ে গৌতম গম্ভীর যেন চরম বিভ্রান্তিতে নিজে আছেন, দলকেও তাই রেখেছেন। বিশ্বকাপের পর থেকে এখন অবধি সাত জন ক্রিকেটারকে এই পজিশনে খেলানো হয়েছে।

বিশ্বকাপ জিতেই টি-টোয়েন্টি পরিকল্পনা ঢেলে সাজায় ভারত। তরুণ ও আইপিএল পারফরমাররা প্রাধান্য পেতে শুরু করেন ২০২৪ বিশ্বকাপের পর।

বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার অবসর এবং ঋষাভ পান্তের অফফর্ম – সব মিলিয়ে তিন নম্বর পজিশনটি নিয়ে গৌতম গম্ভীর যেন চরম বিভ্রান্তিতে নিজে আছেন, দলকেও তাই রেখেছেন। বিশ্বকাপের পর থেকে এখন অবধি সাত জন ক্রিকেটারকে এই পজিশনে খেলানো হয়েছে।

সুরিয়াকুমার যাদবের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে সহ অধিনায়ক করা হয় শুভমান গিলকে। অথচ সে গত বিশ্বকাপে দলেই ছিলেন না। কিন্তু পুরো দল অনেকটা স্থিত হলেও তিন নম্বর পজিশনের মতো মহাগুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় যেন যোগ্য কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না।

এই জায়গায় খেলতে হলে দরকার দক্ষতা ও দৃঢ়তা। এই জায়গায় খেলা ব্যাটারের অনেকসময় নামতে হয় পাওয়ার প্লে কিংবা প্রথম ওভারেই। কখনো আবার দ্রুত গতিতে রান তুলতে কিংবা তাড়া করতে হয়। আবার কোনো কোনো সময় মজবুত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে স্কোরকে টেনে নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু ভারত এই পজিশনটাকে যেন এক প্রকার পরীক্ষাগারে রূপ দিয়েছে।

পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টিপাত করলে ২০২৪ বিশ্বকাপের পর থেকে তিন নম্বরে সবচেয়ে বেশি রান এসেছে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট থেকে। ২৬.৯২ গড়ে ৩৭৭ রান করেন তিনি। স্ট্রাইক রেটটা ১৫৮ প্রায় হলেও গড়টা যেন ঠিক সুরিয়াসুলভ না। তবে আইপিএলে এই ভূমিকায় খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

তিলক বর্মা কম সুযোগ পেলেও নিজের জাত চিনিয়েছেন। প্রায় ১৮৬ স্ট্রাইকরেটে ৩২৩ রান করেন তিনি। এছাড়াও এই পজিশনে ঋতুরাজ গায়কড, সঞ্জু স্যামসন, অভিষেক শর্মা, শিভাম দুবে কিংবা অক্ষর প্যাটেল – সবারই সুযোগ এসেছে। কিন্তু কেউই যেন গম্ভীরকে মনোতুষ্ট করতে পারেন নি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আর বেশি দিন বাকি নেই। এমতাবস্থায় দ্রুতই এই পজিশনে কাউকে স্থায়ী করতে না পারলে টুর্নামেন্টে সমস্যায় পড়তে হবে গম্ভীরকে। এই খোঁজ থামাতে হবে এখনই।

সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও নিয়ন্ত্রনের কথা ভাবলে সুরিয়া কিংবা ভবিষ্যৎ ও আগ্রাসী মনোভাব মাথায় রাখলে তিলক ভার্মাকে এই পজিশনে স্থায়ী করতে হবে। সেটা না হলে, প্রতিভায় ভরপুর হলেও কেবল মাত্র সিদ্ধান্তহীনতার কারণে বড় আসরে ভুগতে হবে ভারতকে।

লেখক পরিচিতি

ক্রীড়াচর্চা হোক কাব্য-কথায়!

Share via
Copy link