ছয়, চার, ছয়, ছয়, চার বলে ২২ রান! পঞ্চম উইকেটের সন্ধানে থাকা শাদাব খানকে মুদ্রার অপরপাশটাও দেখালেন আব্বাস আফ্রিদি। শাদাবের দূর্দান্ত দিনকে খানিকটা মলিন করে দিলেন পাকিস্তানি এই পেসার। যদিও ততক্ষণে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
আর সেই জয় নিশ্চিত কাজটায় সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক শাদাব খান। বল হাতে তিনি নিয়েছেন চার খানা উইকেট। করাচি কিংসের গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটার- খুশদিল শাহ ও মোহাম্মদ নবীর উইকেট নিজের করে নিয়েছেন শাদাব। এছাড়াও ইরফান খান ও হাসান আলি তার উইকেটে পরিণত হয়েছেন।
সেখানে বরং জয়ের ফারাকটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে করাচির জন্যে। যদিও এই চার উইকেট শিকারের নেশায় বেধম প্রহারের শিকার হয়েছেন শাদাব খান। ব্যক্তিগত চার ওভার শেষে ৪৫ রান বিলিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে তো আব্বাস একাই নিয়েছেন চার বলে ২২ রান।
তবে পঞ্চম উইকেটের আশায় হয়ত তিনি আব্বাসকে ব্যাট চালিয়ে রান তোলার জন্যে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু লাভের লাভ অন্তত তার পক্ষে হয়নি। যদিও ব্যাট হাতে নিজের করা প্রায় সমপরিমাণ রানই তিনি বিলিয়েছেন বল হাতে। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ইসলামাবাদ স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ২৫১ রান।
এই সুবিশাল সংগ্রহের পেছনে ব্যাট হাতে শাদাবও রেখেছিলেন অবদান। ৪২ রান নিয়েছিলেন তিনি স্রেফ ১৯ বলে। তিনটি করে ছক্কা-চার মেরেছেন ইসলামাবাদের অধিনায়ক। শেষের দিকে তার ২২১ স্ট্রাইকরেটের কুইকফায়ার ইনিংসের কল্যাণে অতবড় সংগ্রহ গড়তে সক্ষম হয়েছে তার দল। এরপর আবার বল হাতে সেই সংগ্রহ ডিফেন্ড করতে সহয়তা করেছেন। একেবারে জাত অলরাউন্ডার!
অথচ নিকট অতীতে পাকিস্তানের জাতীয় দলের তিনি ছিলেন ব্রাত্য। সেই বঞ্চনার কারণেই হয়ত তিনি নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখছেন পাকিস্তান সুপার লিগের মঞ্চে। ব্যাট-বলে নিজের মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন, পাশাপাশি অধিনায়কত্বের ম্যাজিকে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে বানিয়েছেন টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা দল। সেই সাথে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার সুযোগও আদায় করে নিয়েছে তার দল।