দলের আস্থাভাজন খেলোয়াড়দের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজেদের প্রমাণ করতে হয়। ঠিক সে কাজটাই করেছেন আবদুল্লাহ শফিক। লাহোর কালান্দার্সকে পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনালে যাওয়ার পথে আরেকটু এগিয়ে দিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
এলিমিনেটর ম্যাচ। হারলেই শেষ টুর্নামেন্ট। এমন ম্যাচে লাহোরের ফিল্ডারদের দায়সাড়া ফিল্ডিং। যে কারণে করাচি কিংসের স্কোরবোর্ডে ১৯০ রান। নকআউট পর্যায়ে এই রানও যথেষ্ট ম্যাচ বের করে নেওয়ার জন্যে। কিন্তু করাচিকে সে সুযোগটুকু মূলত দেননি আবদুল্লাহ শফিক।
মিডল অর্ডারটাকে আগলে রেখেছিলেন একাহাতে। রান তুলেছেন আস্কিং রানরেটের সাথে পাল্লা দিয়ে। একটা মুহূর্তের জন্যে লাহোরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে দেননি। যাত্রাপথে নিজের ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিও পূরণ করেছেন তিনি। যতক্ষণ অবধি বাইশ গজে ছিলেন হিসেব কষে ব্যাটিংটা করেছেন।
আউট হয়েছেন ৬৫ রান করে। ৩৫ বলের ইনিংসটিতে ব্যাট চালিয়েছেন প্রায় ১৮৫ স্ট্রাইকরেটে। পাঁচটি ছক্কা মেরেছেন শফিক, দু’টো চার কম মেরেছেন ছক্কার তুলনায়। তার সেই ইনিংসটি লাহোরের পক্ষে ফলাফল নিয়ে আসার কাজটা করেছে।
তিনি আউট হয়েছেন দলীয় ১৫৮ রানের মাথায়। তখন দলের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ৩৪ রান, হাতে ছিল ২৮টি বল। ফখর জামানদের বিদায়ের পর তার ইনিংসটি ঠিক কতটুকু সময়োপযোগী ছিল তা আর না বলে দিলেও চলছে। কুশাল পেরেরা আর ভানুকা রাজাপাকশের কাজ ছিল স্রেফ দলের তরী জয়ের বন্দরে ভেড়ানোর। শফিকের দেওয়া আত্মবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে, তারা আর ভুল করেননি।
ছয় উইকেটের বড় জয় নিয়ে লাহোর একধাপ এগিয়ে গেল ফাইনালের দিকে। দ্বিতীয় এলিমিনেটরে তাদের প্রতিপক্ষ ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। সেই ম্যাচটিতেও আবদুল্লাহ শফিক নিজের সক্ষমতার প্রমাণ রাখতে চাইবেন। গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে অবদান রাখতে চাইবেন তিনি।