গেমচেঞ্জার বলতে ঠিক কি বোঝায়; তাঁর ভূমিকা কেমন হয়, তিনি কি-ই বা করেন। ক্রিকেট দেখার পরও এমন প্রশ্ন যদি আপনার মনে থেকে থাকে তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শাহীন শাহ আফ্রিদির পারফরম্যান্স দেখা উচিত। ‘পারফেক্ট গেমচেঞ্জার’ এর ভূমিকায় আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি; প্রোটিয়াদের দিকে ঝুঁকে যাওয়া ম্যাচটা একরকম ছিনিয়েই নিয়ে এসেছে পাকিস্তান।
হেনরিখ ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলারের অনবদ্য জুটিতে জয়ের সমীকরণ অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছিল। পেসার কিংবা স্পিনার কেউই তখন পারেননি পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে। বাধ্য হয়ে অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান বল তুলে দেন নিজের ভান্ডারের সেরা অস্ত্রের হাতে।
এরপরই ম্যাচটা শেষ হয়ে যায়, দ্বিতীয় স্পেলের দ্বিতীয় বলেই দুর্ধর্ষ এক ডেলিভারিতে মিলারকে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। সেটাই পরবর্তীতে ধ্বংসযজ্ঞের দ্বার খুলে দিয়েছে, তাঁর তান্ডবলীলা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ব্যাটিং লাইনআপে।
মিলারকে আউট করার পরের অভারেই মার্কো জানসেনকে আনপ্লেয়েবল একটা ডেলিভারি উপহার দেন শাহীন, সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান জানসেন। ম্যাচ জয়ের আশা ততক্ষণে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার, বাকি সম্ভাবনার আলো নিভু নিভু করতে জ্বলতেছিল। অথচ আরো একটা মারাত্মক ইয়র্কারে তিনি আউট করে দেন পেহলুকওয়েকে – তাতেই সফরকারীদের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
এককথায় বলতে গেলে, পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান এই বাঁ-হাতি, অধিনায়ক যে কারণে তাঁর হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন তিনি সেটাই করে দেখিয়েছেন। সবমিলিয়ে ৪৭ রানের বিনিময়ে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন।
এর আগে লম্বা সময় নিজের ছন্দ হারিয়ে খুঁজছিলেন এই তারকা। গতি কমে এসেছিল, লাইন লেন্থেও ফুটে উঠেছিল সমস্যা। তবে এখন আবারো ফেরার বার্তা দিলেন তিনি, এখন দেখার বিষয় প্রত্যাবর্তন কতটা শক্তিশালী হয়।