ইদানীংকালে ক্রিকেটীয় দুনিয়ায় কোন দল বা ক্রিকেটার নিয়ে সমালোচনা এবং সেই সমালোচনার জবাবে আরেক দফা সমালোচনার ঘটনা হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে কোন বিষয়ে বক্তব্য এবং তারও পাল্টা বক্তব্য দেয়ার নতুন এক প্রথা শুরু হয়েছে।
যেন কেউ কারও মন্তব্য হজমই করতে পারছেন না। এইতো গেল কিছুদিন আগে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমকে নিয়ে ভারতীয় সাবেক ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর একটি মন্তব্য করেছেন। সেই মন্তব্য নিয়ে আবার পাকিস্তানের ক্রিকেটমহল নড়েচড়ে বসেছে।
চলমান বিশ্বকাপের পাকিস্তান দল এবং তাঁদের অধিনায়ক বাবর আজমের অবস্থানের সমালোচনা করে গৌতম গম্ভীর তাঁকে ‘স্বার্থপর অধিনায়ক’ বলে অভিহিত করেন।
গম্ভীরের বক্তব্যটি এমন ছিল যে, ‘আমার মতে, প্রথমে আপনি নিজের পরিবর্তে আপনার দলের কথা ভাবুন। আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী ফল না পেলে, আপনার ব্যাটিং অর্ডারে ফখর জামানকে পাঠানো উচিত ছিল। এটাকে স্বার্থপরতা বলে। একজন অধিনায়ক হিসাবে, স্বার্থপর হওয়া সহজ। বাবর এবং রিজওয়ানের পক্ষে পাকিস্তানের হয়ে ইনিংস ওপেন করা এবং এত রেকর্ড তৈরি করা সহজ। আপনি যদি নেতা হতে চান তবে আপনাকে নিজের আগে আপনার দল নিয়ে ভাবতে হবে।’
কিন্তু পাকিস্তানী সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি গৌতম গম্ভীরের এই পরামর্শকে ‘উদ্ভট পরামর্শ’ বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তাঁর মতে, ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটার অযাচিত এবং উদ্ভট পরামর্শ দিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ককে।
শহীদ আফ্রিদি গম্ভীরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি সমালোচনা করতেই পারেন। কিন্তু আপনাকে খুব শব্দ প্রয়োগের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে। আপনার এমন শব্দ ব্যবহার করা উচিত, যেন তা একজন খেলোয়াড়ের জন্য একটি উপদেশ হিসাবে কাজ করে এবং লোকে এটিকে বুঝতেও পারে। বাবরের বিষয় বলতে গেলে বলবো তিনি এখন অবধি অনেক ম্যাচ জেতানো পারফরমেন্স দিয়েছেন দলকে। তিনি যে ধারাবাহিকতা নিয়ে রান করে গিয়েছেন, তা খুব কম পাকিস্তানি ব্যাটারই পেরেছেন। তিনি হয়তো এবার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, সে কারণে বেশ সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।’
অর্থাৎ আফ্রিদি মূলত বলতে চেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে একজন বর্তমান ক্রিকেটারের প্রতি কিছুটা সদয় আচরণ করা উচিত। একটা কঠিন শব্দ একজন ক্রিকেটারের মনোবল ভেঙে দিতে সক্ষম। সাবেকরা বর্তমানদের সমালোচনা চাইলেই করতে পারেন, চাইলেই অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিতে পারবেন, তবে শব্দ নির্বাচনে কিছুটা উদার হতে হবে।