‘পারলে নিজে দল কিনে চালাও’ – গাভাস্কারকে শাহরুখ

এই কিংবদন্তি লিখেন, ‘এই একাধিক অধিনায়কত্ব তত্ত্ব নিয়ে মন্তব্য করাটা সময়ের অপচয়। তবে বুকানন যেভাবে তাঁর কুইন্সল্যান্ডের বন্ধুদের এখানে লাভজনক চাকরি পাইয়ে দিচ্ছেন সেটা নিয়ে কথা বলা দরকার। বেচারা মালিকরা একেবারেই বুঝতে পারছেন না যে তাঁরা প্রতারিত হচ্ছেন।’

কলকাতা নাইট রাইডার্স শাহরুখ খানের জন্য পরিবারের বাইরে আরেকটা পরিবার। আর পরিবারকে রক্ষার জন্য সুনীল গাভাস্কারকে পর্যন্ত ছাড় দেননি তিনি। আইপিএলের ইতিহাস ঘাঁটলে দু’জনের সেই দ্বৈরথ সামনে চলে আসবে।

২০০৯ আসরের কথা, কলকাতা তখন মাঠে খাবি খাচ্ছিলো। তৎকালীন কোচ জন বুকানন একরকম বাধ্য হয়ে একাধিক অধিনায়ক তত্ত্ব নিয়ে আসেন। অর্থাৎ নির্দিষ্ট অধিনায়কের পরিবর্তে কয়েকজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এসব অবশ্য পছন্দ হয়নি গাভাস্কারের; দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার কলামে কোচকে তাচ্ছিল্য করেন তিনি।

এই কিংবদন্তি লিখেন, ‘এই একাধিক অধিনায়কত্ব তত্ত্ব নিয়ে মন্তব্য করাটা সময়ের অপচয়। তবে বুকানন যেভাবে তাঁর কুইন্সল্যান্ডের বন্ধুদের এখানে লাভজনক চাকরি পাইয়ে দিচ্ছেন সেটা নিয়ে কথা বলা দরকার। বেচারা মালিকরা একেবারেই বুঝতে পারছেন না যে তাঁরা প্রতারিত হচ্ছেন।’

প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন কিং খান; দিন কয়েক পরে কড়া জবাব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার আবেগের জায়গা এটা, নিজের অনেক অর্থ খরচ করেছি। আপনার যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে দল কিনুন একটা, যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে চালান।’

পরে অবশ্য এই সুপারস্টার দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তির কাছে। তিনি বলেন, ‘যদি গাভাস্কার আমাকে মাথায় ভর দিয়ে হাঁটতে বলে তাহলে তাই করা উচিত। ক্রিকেট নিয়ে তিনি যা বলবেন সেটাই; আমি তখন আসলে তাঁকে ছোট করতে চাইনি। আমি শুধু নতুন কিছু করার স্বাধীনতা চেয়েছিলাম। আমি তাঁর কাছে দু:খ প্রকাশ করেছি, চিঠিও পাঠিয়েছি।’

সেসব দিন এখন অনেক দূরে, কলকাতা নাইট রাইডার্স শাহরুখকে উপহার দিয়েছে স্বপ্নীল সময়। তিন তিনবার শিরোপা জিতেছেন তিনি, এবার আরো একটা ট্রফির জন্য লড়াই হবে।

Share via
Copy link