এবার অভাবনীয় একটা ব্যাপারই ঘটে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টি কখনওই বাংলাদেশের কমফোর্ট জোন নয়। সেখানে এই ফরম্যাটের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর হোয়াইট ওয়াশের স্বাদ পাওয়াটা যেন আকাশের চাঁদ হাতে নেওয়ার মতই একটা ব্যাপার।
ফলে, অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আকাশে উড়তেই পারেন। তবে, তাঁদের দাবি বেশি কিছু নয়। বোর্ডের কাছ থেকে আর্থিক বোনাসই চায় সাকিব আল হাসান ও তাঁর দল। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও বোনাসের আশ্বাস দিয়েছেন।
ইংল্যান্ডকে শেষ টি-টোয়েন্টিতেও হারানোর পর তিনি বলেন, ‘সব দলের বিপক্ষে আমাদের সিরিজ জেতা হয়ে গিয়েছিল। বাকি শুধু কেবল ইংল্যান্ড। সেটাও হয়ে গেল। কোন দলের বিপক্ষে প্রথমবার কিছু করলে ওরা বোনাস পাবে। এটা আমি আগেই ঘোষণা করে দিয়েছি। সুতরাং ওরাও জানে যে, ওরা বোনাস পাবে।’
ক্রিকেটারদের বোনাসের দাবিটাকে যৌক্তিকই মনে করেন বোর্ড সভাপতি। তিনি বলেন, ‘এটা একটু স্পেশাল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং হোয়াইটওয়াশ, কাজেই ওরা একটু বেশি চেয়েছে (বোনাস)। আমি বলেছি, অবশ্যই আমরা দেখব। সব সময় ওরা যেটা পেয়ে থাকে, সেটাই পাবে।’
পাপন জানিয়েছেন, বোনাস দেওয়া হবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। তিনি বলেন, ‘এর বাইরে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স অনুযায়ী কেউ কম পায়, বেশি পায়। আমরা এবার বলেছি, তোমরা এটা তোমাদের মধ্যে ভাগাভাগি করো। পারফরম্যান্সের বোনাসটা আলাদা করে দেবে বিসিবি, এই সিরিজে যারা ভালো করেছে।’
টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বার তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে চতুর্থবার বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাই হয়েছে প্রতিপক্ষ। তাই, দলের সার্বিক পারফরম্যান্সে খুবই সন্তুষ্ট বোর্ড প্রধান।
বিশেষ করে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড ছিল বলেই কি না, তাঁর হাসিটা অনেক বেশি চওড়া। বললেন, ‘চার মাস আগে ওরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে, আট বছর পরে ওরা (বাংলাদেশে) আসলো, ১২ বছর আমরা (ইংল্যান্ডে) সিরিজ খেলতে যাই না। তাদের বিপক্ষে জয় বড় ব্যাপার। বাংলাদেশ ফেরারলেস ক্রিকেট খেলেছে, দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন এনেছে। অসাধারণ ফিল্ডিং করেছে। ভালো হবে এই বিশ্বাস ছিল।’