দিন দুয়েক আগেও ক্রিকেটে ব্রাত্য ছিলেন সাকিব আল হাসান; অ্যাকশনের কারণে বোলিং নিষেধাজ্ঞা থাকায় মূলধারা থেকে অনেকটাই বাইরে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে গত ২০ মার্চ ইংল্যান্ডের বার্মিংহ্যাম থেকে ভেসে আসে সুখবর। গ্যারেথ ব্যাটির অধীনে অনুশীলনের পর বোলিং অ্যাকশনে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে তাঁকে।
তাতেই দৃশ্যপট বদলে গেলো, অনিশ্চিত মঞ্চ অনেক বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠলো। মাঠ থেকে আসলে সাকিব দূরে থাকতে চান না, তাই লাল-সবুজের জার্সি কবে গায়ে জড়াবেন সেই আশায় বসে থাকতে রাজি নন। ইতোমধ্যে আইপিএলের তিনটা দলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস এবং সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এই তিন দলের সঙ্গেই কেন আলোচনা হয়েছে তাঁর, সেটার একটা যৌক্তিক ব্যাখ্যাও পাওয়া গিয়েছে। মূলত এই দলগুলোর স্পিন বিভাগ তুলনামূলকভাবে দুর্বল। যে কারণে তিনি নিজ থেকেই তাঁদের হয়ে খেলার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছেন।
আইপিএলের দামামা বেজে উঠলে এমনিতেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভাটা পড়ে। তার উপর রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই বাঁ-হাতির প্রতিকূলে, কবে নাগাদ দেশের মাটিতে পা রাখতে পারবেন সেটার ঠিক নেই। তাই শীঘ্রই যে বাংলাদেশ দলকে তাঁকে দেখা যাচ্ছে না সেটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
আইপিএল ঘিরেই তাই স্বপ্ন দেখছে সমর্থকেরা, তবে সরাসরি তাঁর কোন দলে জায়গা পাওয়ার সুযোগ নেই। অন্য কোন ক্রিকেটার চোটে পড়লে বা নাম উঠিয়ে নিলে তখন বদলি হিসেবে নেয়া যাবে তাঁকে।
টাইগার পোস্টার বয়কে আইপিএলে দেখা যাবে সেই সম্ভাবনা অবশ্য কম, তবে তিনি নিয়মের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়েছেন এটাই তো জরুরী খবর। যেভাবেই ফিরেন, যে মঞ্চ দিয়ে পুনরায় আগমন ঘটুক তাঁর তাতে তেমন কিছু আসে যায় না; বরং ফেরাটাই আসল।