বল হাতে সাকিব আল হাসান ক্রিজে এলেই রানের নদী শুকিয়ে যায়। তিনি একাই যেন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। আবু ধাবি টি-টেন লিগে সাকিবের দল বাংলা টাইগার্স ধুকছে বটে। সতীর্থ বোলারদের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের জন্যে। তবুও সাকিব দলের জন্যে নিজের সামর্থ্য নিঙড়ে দিচ্ছেন।
আজমান বোল্টসের বিপক্ষে টসে জিতে বোলিংয়ে সিদ্ধান্ত নেন সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের পক্ষে সতীর্থ বোলারদের যেন ছিল না কোন সহয়তা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে সাকিব বল হাতে এসেছে্ন বাইশ গজে। ততক্ষণে প্রতিপক্ষের রান ৫১।
মারকাটারি টুর্নামেন্টে রান হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাভাবিক সে কর্মে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন সাকিব। প্রথম ওভারে তার খরচা মাত্র ৮ রান। ব্যাটারের উদ্দেশ্য পড়ে, সে অনুযায়ী বোলিং করেছেন বা-হাতি এই অলরাউন্ডার। সেই ওভারে অবশ্য উইকেটের দেখা পাননি। কিন্তু আজমানের ব্যাটারদের রানের চাকায় লাগাম টেনে দিয়েছেন।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারেও একই কাজ করেছেন তিনি। যদিও প্রথম বলেই দৃষ্টিকটু একটা ওয়াইড বল করেছেন, সেই সাথে চার রানও হজম করেছেন। এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। অতিরিক্ত সেই পাঁচরানের পরও সেই ওভারে মাত্র চার রান নিতে সক্ষম হন আজমানের ব্যাটাররা। মাঝে অবশ্য রিভার্স সুইপ করতে চাওয়া সেভন ড্যানিয়েলের উইকেট তুলে নিয়েছেন সাকিব।
বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন সেভনকে। দুই ওভার বোলিং করে মাত্র ১৭ রান খরচা করেছেন সাকিব। তবুও দশ ওভার শেষে প্রতিপক্ষের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৩ রান। এমনকি সাকিব ছাড়া আর কেউ প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিতে পারেননি। তাতে অন্তত প্রমাণিত হয় যে বোলারদের ঠিক কতটা দূর্দিন কেটেছে।
বল হাতে লড়াই করা সাকিবের অবশ্য একটা নিজস্ব সংগ্রাম চলমান। ব্যাট হাতে নিজের ছাঁয়া হয়ে আছেন তিনি বহুদিন ধরে। তবুও পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। ১৯ বলে ২৯ রানের একটি মান বাঁচানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন সাকিব।