ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করা বোলারের তালিকাটা মোটেই বড়ো নয়। এখন পর্যন্ত ১৪ জন বোলার এই কীর্তি গড়েছেন। আর স্পিনারদের হিসেবে ধরলে সংখ্যাটা মাত্র ৬। এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৪ উইকেট নিয়ে ৩০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বাংলাদেশের পোস্টার বয়।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। একই সাথে সাকিবের অসামান্য অর্জন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) তাই এ অর্জনের সম্মাননা জানাতে প্রস্তুত ছিল। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সাকিবের জন্য ক্রেস্টও সাজিয়ে রাখা ছিল। তবে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট নিতে অস্বীকৃতি জানান সাকিব। এমনকি সে অনুষ্ঠানে তাঁর নামও ঘোষণা করতে নিষেধ করেন সাকিব।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাকিবের সেই সম্মাননা নিতে অনীহার ব্যাপারটা এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, বিসিবি’র একজন অফিশিয়াল বারবার সাকিবকে সম্মাননার ব্যাপারে অবগত করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সাকিব শুরু থেকেই অনীহা প্রকাশ করছিলেন। এক পর্যায়ে তাঁকে রাগান্বিতও দেখা যায়।
ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আগে সাকিব স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এই সম্মাননা নেবেন না।
সম্মাননা নিয়ে সাকিবের এমন অনীহা থাকলেও ম্যাচ শেষে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন সাকিব। সতীর্থদের সাথে তাঁকে বেশ চনমনেই লাগছিল। অবশ্য সাকিবীয় পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের জয়ের পরে এমন ফুরফুরে থাকাটাই স্বাভাবিক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচটার পুরোটাই ছিল সাকিবময়। ব্যাট হাতে ৭৫ রানের পর বল হাতেও দেখিয়েছেন আধিপত্য। একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট।
তবে নিজের এমন অর্জনের দিনে বিসিবি’র কাছ থেকে সাকিব কেন সম্মাননা নিলেন না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। অভিমান নাকি তৃষ্ণার্ত সাকিব এমন অর্জনে খুব একটা তৃপ্ত হন না বলেই সম্মাননা ফিরিয়ে দিয়েছেন? সে যাই হোক। বিসিবি’র প্রতি সাকিবের এমন বিরাগভাজনে বিতর্কের হাওয়া লাগতে আর কতটুকুই বা দেরি।
অবশ্য সাকিবের জন্য বিতর্ক নতুন কিছু নয়। বিতর্ককে এক প্রকার সঙ্গী করেই এগিয়ে চলেন মিস্টার সেভেন্টি ফাইভ। তেমনি এবার নতুন এক বিতর্কে নিজেকে জড়ালেন তিনি। এবার এই বিতর্ক কতদূর গড়ায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়!