অবশেষে ক্রিকেট ময়দানে সাকিব আল হাসান ফিরলেন মাথাটা উঁচু রেখেই। লাহোর কালান্দার্সের আমন্ত্রণে পাকিস্তান সুপার লিগের মঞ্চে সাকিব। লাহোরও তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে আর শুধু স্বাগতই নয়, তাকে সেরা অলরাউন্ডার আখ্যা দিতেও ভোলেনি তারা।
বিশ্ব ক্রিকেটে অলরাউন্ডার বলতে যার নামটা চোখ বন্ধ করেও বলে দেওয়া যায়, তিনি সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ম্যাচ জেতানো ইনিংস হোক কিংবা বল হাতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা, সাকিবের জুড়ি নেই বললেই চলে। আর তাই তো লাহোর কালান্দার্সের চোখ ভরসা খুঁজে পেল সাকিবের কাছে।
অভিজ্ঞতা, পারফরম্যান্স আর ট্যাকটিক্যাল ব্রিলিয়ান্স—সব মিলিয়ে সাকিবকে নেওয়া মানে শুধু একজন ক্রিকেটার নয়, বরং পুরো একটা ক্রিকেটিং ব্রেনকে দলভুক্ত করা। লাহোর কালান্দার্স সেই কাজটাই করেছে নিখুঁতভাবে।
লাহোরের অনুশীলন চলাকালীন এক টিম মিটিংয়ে লাহোর কালান্দার্সের মালিক সামিন রানা সাকিব আল হাসানকে স্বাগত জানান। সেই সাথে লাহোরের জার্সি গায়ে জড়ানোর জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে সাকিবকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে আখ্যায়িত করেন সামিন রানা।
লাহোর কালান্দার্সের ব্যাটিং লাইনআপে ব্যালান্স আনা থেকে শুরু করে, মিডল ওভারে কার্যকর বোলিং—সাকিব হতে পারেন দলের গেম-চেঞ্জার। বিশেষ করে পাকিস্তানি কন্ডিশনে সাকিবের অভিজ্ঞতা হতে পারে তুরুপের তাস।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের গণ্ডি পেরিয়ে ‘সাকিব’ নামটি বিশ্বমহলে জায়গা করে নিয়েছিল। তবুও একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে চলা এই ক্রিকেটারের শেষবেলা অনেকটা আলোর আড়ালে চলে যাচ্ছিল, তবে একেবারে ফুরিয়ে যায়নি। এবার পিএসএলে ডাক পেয়ে লাইমলাইটটা আবারও নিজের করে নিয়েছেন আল হাসান।
‘বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার’ এই স্বীকৃতি এসেছে শুধুই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নয়, বরং দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব ক্রিকেটে তার আধিপত্যের ফলাফল হিসেবেই। তাই তো লাহোর কালান্দার্স যেমন ভরসা রেখেছে তাঁর উপর, তেমনই ক্রিকেট ভক্তরাও অপেক্ষায় আছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট অলরাউন্ডার’-এর জাদু দেখার।