সাকিবই হবেন ‘গেমচেঞ্জার’, মত ভোগলের

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসর। টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে দল গুলোর শক্তিমত্তা, দূর্বলতা ও সার্বিক বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করছে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও ধারাভাষ্যকাররা। আইপিএলের গত আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ভুগিয়েছে তাদের তিন নম্বর পজিশন। এবারও চূড়ান্ত নয় তিন নম্বর পজিশনে কাকে খেলাবে কলকাতা।

এবারের আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে মাঠ মাতাবেন সময়ের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করেন সাকিবেই তিন নম্বর পজিশনের সমাধান খুঁজে নিতে পারে কলকাতা। আর ক্যারিবিয়ান ধারাভষ্যকার ইয়ান বিশপ চান শুরু থেকেই অন্তত একাদশে থাকুক সাকিব।

২০১৯ বিশ্বকাপে তিন নাম্বার পজিশনে ব্যাট করে সাকিবের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণেই এই দুই ধারাভষ্যকার সাকিবের পক্ষে বাজি ধরছেন। এই দুজন চাইলেও সাকিবকে আইপিএলের শুরু থেকেই দেখা যাবে কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চিয়তা রয়েছে। কারণ কলকাতার একাদশে অধিনায়ক মরগানের পাশপাশি আন্দ্রে রাসেল ও প্যাট কামিন্সের জায়গা মোটামুটি নিশ্চিতই। সাকিবকে লড়াই করতে হবে মূলত সুনীল নারাইনের সাথে।

অতীতের পারফরম্যান্স নারাইনের পক্ষে থাকলেও ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের টিম প্রিভিউতে হার্শা ভোগলে সাকিবকে তিন নম্বরে খেলানোর পক্ষেই জোর মতামত দিয়েছেন। ভোগলে মনে করেন সাকিব তিনে খেললে কলকাতার পরের ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে।

তিনি বলেন, ‘কলকাতার ব্যাটিং অর্ডারে সাকিব তিন নম্বর পজিশনের জন্য একজন উপযুক্ত ব্যাটসম্যান। ও তিন নম্বরে খেললে চার, পাঁচ এবং ছয় নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানরা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারবে। তাদের ব্যাটিং অর্ডারটাও তখন সুন্দরভাবে সাজানো যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকতে চান সেটাও আপনাকে সাকিব দিতে পারবে। এ ছাড়া আমি মনে করি সাকিব তিন নম্বর পজিশনের যোগ্য। কারণ ২০১৯ সালে এই তিন নম্বর পজিশনেই সে অসাধারণ একটি বিশ্বকাপ কাটিয়েছে। তার উপস্থিতি কলকাতার ব্যাটিংকে আরো শক্তিশালী করবে।’

ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনের আইপিএল টিম প্রিভিউতে কলকাতাকে নিয়ে আলোচনার সময় সাকিবকে নিয়ে বিশপ বলেন, ‘মনে হচ্ছে গতবারের পরীক্ষিতদের দিয়েই শুরুতে দল সাজাবে কলকাতা। ইয়ন মরগান, প্যাট কামিন্স, আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারাইন থাকবে। তবে আমি বলব সাকিবকে খেলাও। ও এমন একজন যে সেরা ছন্দে থাকলে কি করতে পারে তা আমরা ২০১৯ বিশ্বকাপে দেখেছি।’

এর আগে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে দুই বার শিরোপা জিতেছেন সাকিব আল হাসান। দুই বারই শিরোপা জেতাতে ব্যাটে বরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ভিতর সাকিবই আইপিএল সবচেয়ে বেশি অভিজ্ঞ। আইপিএলে ৬৩ ম্যাচ খেলে ১২৬.৬৬ স্টাইক রেটে ৭৪৬ রান করেছেন সাকিব। আইপিএলে বল হাতেও সফল ছিলেন তিনি। বল হাতে ৬৩ ম্যাচে সাকিব শিকার করেছেন ৫৯ উইকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link