ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দ্বিতীয় অংশে এখনো মাঠে নামা হয়নি সাকিব আল হাসানের। যে টিম কম্বিনেশনের কারণে কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাদশে জায়গা পাচ্ছিলেন না এই অলরাউন্ডার সেই টিম কম্বিশনের কারণেই একাদশে জায়গা পাওয়ার সুযোগ এসেছিল সাকিবের সামনে।
তবে নিজেদের সর্বশেষ দুই ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিদেশি কোটায় একটি করে পরিবর্তন আসলেও জায়গা হয়নি সাকিবের। টিম কম্বিনেশনের কারণে সাকিব মাঠের বাইরে থাকলেও ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতার পরেও কলকাতার একাদশে নিয়মিত মুখ ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান।
এবারের আসরের ১২ ম্যাচে মরগ্যানের ব্যাট থেকে ১০.৯০ গড়ে ও ১০০.৯২ স্টাইকরেটে মাত্র ১০৯ রান। ১২ ম্যাচেও কোন হাফ সেঞ্চুরি আসেনি মরগ্যানের ব্যাট থেকে। এরপরেও কলকাতার অধিনায়কের নিয়মিত খেলে যাওয়াকে হতাশাজনক বলছেন ধারাভাষ্যকর ও ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া।
গতকাল (১ অক্টোবর) আইপিএলের ৪৫ তম ম্যাচে ও নিজেদের ১২ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব কিংস ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে পাঁচ উইকেটে হারে কলকাতা। এই হারের ফলে শেষ চারে যাওয়ার সমীকরণও কঠিন হয়ে গিয়েছে কলকাতার জন্য।
এই ম্যাচ শেষে আকাশ চোপড়া টুইটারে করা এক পোস্টে বলেন সাকিবকে বাকি ম্যাচ গুলোতে অধিনায়ক করার চিন্তা করতে পারে কেকেআর। কারণ সাকিব ব্যাটিংয়ের পাশাপশি কয়েক ওভার বলও করতে পারতো।
তিনি বলেন, ‘হতাশাজনক সময়, হতাশাজনক ব্যবস্থাপনা। সাকিবকে বাকি ম্যাচ গুলোর অধিনায়ক করার চিন্তা করতে পারে কী কেকেআর? মরগ্যানের বিরোধীতা করছি না, কিন্তু সে তো কার্যকর নয়। সেরা খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে অফ ফরম যেতেই পারে। সাকিব কিন্তু ব্যাটিংয়ের পাশাপাশা কয়েক ওভার বলও করতে পারবে। আপনার ভাবনা কী?’
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় অংশ শুরুর পর কলকাতার একাদশে বিদেশি কোটায় মরগ্যানের সাথে নিয়মিত খেলেছেন সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল ও লকি ফার্গুসন। ফার্গুসনের জায়গাতে কয়েক ম্যাচ খেলেছেন টিম সাউদি। সাকিবকে ভাবা হচ্ছিল রাসেল অথবা নারিনের বিকল্প।
তবে এই দু’জনের পারফরম্যান্সও ছিল দুর্দান্ত। তাই একাদশে জায়গা হচ্ছিল না সাকিবের। কিন্তু, রাসেল চোটে পড়লে একাদশে ফেরার একটা সম্ভবনা তৈরি হয় সাকিবের সামনে। তবে সাকিবের পরিবর্তে কলকাতার হয়ে এক ম্যাচে খেলেন ফার্গুসন ও অপর ম্যাচে টিম সেইফার্ট।
কলকাতার প্রধান কোচ ম্যাককালাম হওয়াতেই দুই ম্যাচে দুই কিউই ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন বলে মনে করেন আকাশ চোপড়া। ম্যাচ চলাকালীন টুইটারে ছোট্ট একটা পোস্টে এই ধারাভাষ্যকর ও ক্রিকেট বিশ্লেষক লেখেন, ‘সাকিব যদি একজন কিউই হত!’
এবারের আসরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সাকিব। তবে সেই তিন ম্যাচেও তিনি ছিলেন নিজের ছাঁয়া হয়ে। তিন ম্যাচে এই অলরাউন্ডাের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩৮ রান এবং বল হাতে পেয়েছিলেন দুই উইকেট। টুর্নামেন্টে প্রথম তিন ম্যাচ খেলার পর সর্বশেষ ৯ ম্যাচে আর কেকেআরের একাদশে জায়গা পাননি সাকিব।
কলকাতা নাইট রাইডার্সও পয়েন্ট টেবিলে খুব একটা সুবিধাজনক স্থানে নেই। ১২ ম্যাচে ৫ জন নিয়ে চতুর্থ স্থানে থাকলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে তাঁর পরের স্থানেই রয়েছে পাঞ্জাব কিংস ও মু্ম্বাই ইন্ডিয়ান্স। যেখানে কলকাতার থেকে এক ম্যাচ কম খেলেছে মুম্বাই। শেষ চারে যেতে হলে শেষের দুই ম্যাচে নিজেদের জয়ের পাশাপাশি অন্য দলের ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে কলকাতাকে।