কে বলেছে সাকিব-তামিম নেই!

অভিজ্ঞতা বা প্রত্যাশার চাপ কোনটাই এখনো তেমন আসেনি তাদের তরুণ কাধে। কিন্তু নামটা যেহেতু তামিম-সাকিব, সবার নজর নিশ্চয়ই তাদের উপর বিশেষ ভাবেই থাকবে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মত, এবারও তামিম-সাকিব মাতিয়ে আসুক বাইশ গজে, সেই কামনায় এখন গোটা ক্রিকেটমহল।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন চলছে পালাবদলের সুর। গত চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দ্যুতি ছড়ানো সাকিব আল হাসান আর তামিম ইকবাল নেই এবারের স্কোয়াডে। তবে সাকিব-তামিম জুটি কিন্তু ঠিকই যাচ্ছেন আইসিসির এই মেগা ইভেন্টে। বিপিএলের ঠিক পরদিনই ইন্ডোর ক্রিকেট সেন্টারে নিবিড়  অনুশীলনে নিজেদের প্রস্তুত করছেন তারা।

হ্যা, তানজিম হাসান সাকিব আর তানজিদ হাসান তামিমের কথা বলছি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষের ঠিক পরদিনই নেটে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাম ঝড়িয়েছেন দুইজন। দিন দশেক পরেই যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মহারণ। বিশ্রামের তাই ফুসরত নেই এই দুই তরুন তুর্কীর।

তানজিদ তামিম কাজ করেছেন পাওয়ার হিটিং নিয়ে। তামিমের স্কোরিং জোন সীমিত, এমন সমালোচনা যেন দূরে ঠেলে দিতে বদ্ধ পরিকর তিনি। আগ্রাসন আর পেসের ঝড় তোলার নেশায় মগ্ন তানজিম সাকিবও নেটে অনুশীলন করেছেন দীর্ঘক্ষন। কাজ করেছেন সুইং নিয়ে।

দারুন এক বিপিএল কাটিয়েছেন দুইজনই। তানজিদ তামিম ৪৪ গড়ে রান করেছে ৪৮৫। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তামিমের আক্ষেপ থাকতেই পারে, দল ভালো করলে হয়ত তৃতীয় বাংলাদেশ হিসেবে ছুয়ে ফেলতে পারতেন এক বিপিএলে ৫০০ রানের মাইলফলকও। পুরো আসরে দারুণ শট, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিংয়ে মাতিয়ে রেখেছিলেন দর্শকদের।

একই পরিনতিই ছিল তানজিম সাকিবের। ৯ ম্যাচে মোটে ১৮ গড়ে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট। পেস, আগ্রাসন, লাইনলেন্থ সবেতেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। তবে দলীয় ব্যর্থতায় আর বেশি দূর যাওয়া হয়নি তার।

প্রায় অনভিজ্ঞ এক দল নিয়েই এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তান যাচ্ছে টাইগাররা। তবে সেই দলের অন্যতম সেনানী হতে পারেন এই দুইজন। এজন্যই নেটে বোলিং এবং ব্যাটিং নিয়ে কাজ করছেন তারা। নিজেদের ঝালিয়ে নিতে মিরপুরেই অনুশীলন করবেন ১২ তারিখ অবধি।

অভিজ্ঞতা বা প্রত্যাশার চাপ কোনটাই এখনো তেমন আসেনি তাদের তরুণ কাধে। কিন্তু নামটা যেহেতু তামিম-সাকিব, সবার নজর নিশ্চয়ই তাদের উপর বিশেষ ভাবেই থাকবে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মত, এবারও তামিম-সাকিব মাতিয়ে আসুক বাইশ গজে, সেই কামনায় এখন গোটা ক্রিকেটমহল।

Share via
Copy link