এভাবে তাঁরা এক হবেন, শত্রুও নিশ্চয়ই ভাবেনি

তাঁদের দু’জনের নাকি মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। কিন্তু, বিপদেই তো বন্ধুর পরিচয়। তামিম ইকবালের যখন ঘোরতর বিপদ, যখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন – ঠিক তখনই হাজির হলেন সাকিব আল হাসান।

তাঁদের দু’জনের নাকি মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। কিন্তু, বিপদেই তো বন্ধুর পরিচয়। তামিম ইকবালের যখন ঘোরতর বিপদ, যখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন – ঠিক তখনই হাজির হলেন সাকিব আল হাসান।

এক সময় সাকিব-তামিম জুটি মানেই যে ছিল রূপকথা। সেই রূপকথার নতুন এক অধ্যায় লেখা হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাকিব জন্মদিনে উপহার চাইলেন সবার কাছে। সাকিব লিখেছেন, ‘তামিমের জন্য আপনার দোয়াই হবে, আমার জন্মদিনের সেরা উপহার । দোয়া করবেন—আমার ভাই তামিম যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারে!’

হ্যাঁ, সাকিবের ভাই হলেন তামিম ইকবাল। মাঠের বাইরের সকল বিবাদের ঊর্ধ্বে গিয়ে সত্য এটাই। সেই সত্যের বলেই তামিমের জন্য প্রাণ খুলে স্রষ্টার দরবারে দোয়া চাইলেন সাকিব। স্রষ্টাও নিশ্চয়ই এতটা নিষ্ঠুর নন যে, ভাইয়ের জন্য ভাইয়ের এই আকুতি শুনবেন না।

সাকিব লিখেছেন, ‘আজ আমার জন্য বিশেষ দিন, কিন্তু মনটা পুরোপুরি আনন্দে নেই, কারণ আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। মাঠে আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি, অনেক স্মৃতি রয়েছে, আর সবসময় চাইব আমাদের এই পথচলা আরও দীর্ঘ হোক।’

এর পরে আর কোনো কথা থাকতে পারে না। সাকিব-তামিম এক হলে গেলেন। কিন্তু, এভাবে তাঁরা এক হবেন – সেটা নিশ্চয়ই তাঁদের শত্রুরও স্বপ্ন ছিল না। তাঁরা এক হয়ে যাবেন, হাত মেলাবেন – জড়িয়ে ধরবেন। সেটাই তো কোটি সমর্থকের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণ হোক। প্রত্যাশা পূরণ হোক সাকিবেরও।

সাকিব আল হাসান ফিরে এলেন, জন্মদিনের উপহার চাইলেন। আর সেই উপহার হল বন্ধুর জন্য দোয়া। এই দোয়াটাই তো এখন সবচেয়ে বেশি দরকার বাংলাদেশের জন্য, দরকার তামিম ইকবাল ও তাঁর পরিবারের জন্য।

Share via
Copy link