সম্প্রতিই ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ তে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে ভারত। নিয়মিত একাদশও নেই সেরা ছন্দে। সব মিলিয়ে বেশ নাজেহাল অবস্থাতেই আছে ভারতীয় ম্যানেজমেন্ট। সেজন্যই ঘুরে ফিরে আসছে মোহাম্মদ শামির প্রসঙ্গ। মাত্রই ইনজুরির পুনর্বাসন শেষে তিনি ফিরেছেন।
রঞ্জি ম্যাচ খেলেছেন, পারফরমও করেছেন। সিরিজের মাঝপথে অস্ট্রেলিয়ায় চলেও যেতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন শামিকে নিয়ে এত তাড়াহুড়া ভারতের?
দুয়ারে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। অধিনায়ক রোহিত ব্যক্তিগত কারণে মিস করবেন প্রথম টেস্ট, হয়ত দ্বিতীয়টাও। এদিকে লোকেশ রাহুল, ধ্রুব জুরেলকেও প্রস্তুত করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তাদের।
পেস বোলিংয়ের দায়িত্বটা আপাতত জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজের ওপরে। আকাশ দীপ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, হার্শিত রানারা বিকল্প হিসাবে আছেন বটে তবে তাদের অভিজ্ঞতার ঘাটতি বড্ড ভুগাবে ভারতকে।
শুধু পেস ইউনিটই না স্পিন বিভাগেও বেশ দূর্বল এবার ভারত। একসময়ের জৌলুসপূর্ণ দুই স্পিন জাদুকর রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার ও বেলা ফুরিয়ে এসেছে। ওয়াশিংটন সুন্দর যদিও আশার আলো ছড়াচ্ছেন তবে ঘরের মাঠে ৬৭ টেস্টে ৩০.৪৪ গড়ে ২৫৯ উইকেট নেওয়া নাথান লিঁওর সামনে তাকে পুঁচকে ছোকরাই লাগবে হয়ত।
এইজন্যই ৩৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ শামির জন্য হন্যে হয়ে উঠেছে বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। শামি যদিও বেশ আশার আলোই ছড়াচ্ছেন। ৩৬০দিন পর খেলতে নেমেই রঞ্জি ট্রফিতে নিয়েছেন ৭ উইকেট, ব্যাট হাতেও আছে গুরুত্বপূর্ণ ৩৭ রান।
যার ফলে, মধ্যে প্রদেশের বিপক্ষে ১১ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে তার দল বাংলা দল। একই ম্যাচে উপরে ফেলেছেন এই মুহূর্তে ভারতের অন্যতম ভরসার প্রতীক রজত পাতিদারের স্টাম্প। ২০১৮-১৯ সিরিজেও চার টেস্টে ১৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ফুল ফিট শামি যেমন দ্রুত গতিতে বোলিং করতে পারেন, দিতে পারেন প্রানঘাতি বাউন্সার ও।
তাই তো তার জন্য এত মরিয়া হয়ে আছে ভারত। প্রথম দুই টেস্টে হয়ত তাকে পাওয়াটা একটু বেশি আশাবাদী হয়ে যাবে এই মুহূর্তে। তবে শেষ কয়েকটি টেস্টে হলেও তাকে বড্ড দরকার ভারতের, তাইতো আশা দেরিতে হলে অস্ট্রেলিয়ার প্লেনে চড়তে যাচ্ছেন শামি!