ধূসরতার মাঝে একরত্তি আলোকরোশনাই

বড় আশা নিয়ে শামীম পাটোয়ারিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল বাংলাদেশ দলে। কিন্তু অপরিপক্ক শামীম আশার প্রত্যাশা ঘটাতে পারেননি। তাই বলে তো তাকে ছুঁড়ে ফেলা যায় না। ঠিক সে কারণেই বাংলাদেশ হাই পারফরমেন্স ইউনিটের হয়ে তিনি খেলছেন টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ। শুধু যে খেলছেন তা নয়, নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ তিনি রাখছেন।

অ্যাডেলেড স্ট্রাইকার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ধুঁকেছে বাংলাদেশ এইচপি। কিন্তু সবার খারাপ দিনে তুলনামূলক উজ্জ্বল ছিলেন শামীম। ব্যাট হাতে কার্যকর এক ইনিংস উপহার দিয়ে গেছেন তরুণ এই ব্যাটার। তিনিই বরং বাংলাদেশের সংগ্রহকে ভদ্রস্থ করেছেন।

ছয় নম্বর ব্যাটার হিসেবে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। এরপর নিজের ইনিংসকে বড় করেছেন। বলের সাথে তাল মিলিয়ে রান তুলেছেন। স্কোরবোর্ডকে সচল রেখে ১৪৮ অবধি নিয়ে গেছেন শামীম। এই পথ চলায় তিনি ব্যাট চালিয়েছেন ১৩১ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে।

ইনিংসে তার বাউন্ডারির সংখ্যা ততটা বেশি নয়। একটি ছয়ে বিপরীতে ৩টি চার হাঁকিয়েছেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটার। বাকিটা রান তিনি দৌড়ে নিয়েছেন। ডট বল তুলনামূলক কম খেলেছেন। রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে তিনি খানিকক্ষণ ব্যস্ত রেখেছিলেন প্রতিপক্ষ ফিল্ডারদের।

৩১ বলে ৪২ রানের এই ইনিংসটিতে সবচেয়ে দৃষ্টিকটু ছিল তার আউট হওয়ার ধরণ। ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হয়েছেন তিনি। স্লোয়ার বাউন্সার শামীম বুঝতেই পারেননি। পুল শট খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলের গতির কারণে সেই শট খেলার আগেই বল আকাশ পানে উঠে যায়। বোলারই ক্যাচ লুফে নেন।

অগত্যা প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়েছে তাকে। আউট হওয়ার ধরণ ছাড়া এই ইনিংসটিকে শামীমের অন্যতম ভাল মানের ইনিংস বলা যেতে পারে। তিনি দলকে ক্যারি করেছেন। দলের সংগ্রহ বাড়িয়েছেন। সে কাজ করতে গিয়ে অযথা বল খরচ করেননি। দলকে চাপে ফেলেননি। বরং টি-টোয়েন্টির মেজাজ বুঝে ব্যাট চালিয়েছেন। এমন সব ইনিংসই হয়ত আশাবাদী করে তোলে। শামীম হয়ত আবার নিয়মিত হবেন জাতীয় দলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link