অপেক্ষা শুধু শামিমের বুড়িয়ে যাওয়ার

এসবই আসলে ফ্লুক। হুট করেই হয়ে গেছে। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা, ওয়ানডেতে হাল ধরার ক্ষমতা এগুলো তো আসবে অভিজ্ঞতার সাথে। শামিম যা করেছেন, তা মাঝেমধ্যে তো যে কেউ করতে পারে।

শামিম হোসেন পাটোয়ারি, সেদিনকার ছোকড়া। তার কি আর অভিজ্ঞতা আছে নাকি! তিনি কেনই বা থাকবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। বরং সেখানে তাদেরই ঠাই হওয়া উচিত যাদের নিয়ে সামনের দিনে পরিকল্পনার ছক কষবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।

সেই পরিকল্পনার অংশ হতে গেলে, প্রথম ক্রাইটেরিয়া হচ্ছে- রাজ্যের অভিজ্ঞতা। কম করে হলেও বছর দশেক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে হব। কেবল তবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা যাবে। ঠিক সে কারণেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমরা আরও এক দফা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকার জন্যে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

তাদের এখনও বাংলাদেশের ক্রিকেটকে দেওয়ার অনেক কিছু আছে। একটা মাত্রই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খারাপ কেটেছে। তাতে করে নতুনদের সুযোগ দেওয়ার বিশেষ প্রয়োজন নেই। সেসব সেকেলে চিন্তাভাবনা। শামিম হোসেন পাটোয়ারি তো আর ফর্মেও নেই।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শামিম দু’খানা ফিফটি করেছেন। যার একটিতে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ২০৫, আরেকটিতে তিনি অর্ধশত রান করেছেন ২১৩ স্ট্রাইকরেটে। যথাক্রমে ৭৮ ও ৭৯ রান করেছিলেন তিনি সেই দু’টি ইনিংসে। এছাড়াও ১২ ও ১৪ বলে ৩০ রানের দুইটি ইনিংস এসেছে তার ব্যাট থেকে।

এ তো গেল টি-টোয়েন্টির কথা। চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শামীম প্রায় হেরে যাওয়া একটি ম্যাচ জিতিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে। ১১৩ রানে সাত উইকেট হারানো দলকে জয়ের স্বাদ এনে দিয়েছেন তিনি একা হাতে। সেদিন অপরপাশের যাওয়া-আসার মিছিলের মাঝে দাঁড়িয়ে তিনি ৯৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। দায়িত্বশীলতার পরিচয়।

এসবই আসলে ফ্লুক। হুট করেই হয়ে গেছে। টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকতা, ওয়ানডেতে হাল ধরার ক্ষমতা এগুলো তো আসবে অভিজ্ঞতার সাথে। শামিম যা করেছেন, তা মাঝেমধ্যে তো যে কেউ করতে পারে। এজন্যে তাকে জাতীয় দলের পরিকল্পনার মধ্যখানে নিয়ে আসার বিশেষ কারণ নেই। যখন তার অনেক অভিজ্ঞতা হবে, তখন না হয় ভাবা যাবে, হোক না তখন তার ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেল।

Share via
Copy link