সামিতের সামর্থ্য হল না যথেষ্ট

দিনশেষ সামিত ওই দু-একটি পাসেই সামিত সোম বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের সক্ষমতা। প্রথম ম্যাচ বলেই খানিকটা খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে তার।

অভিষেক ম্যাচ শামিত সোমের। প্রথমার্ধে তিনি ছিলেন দারুণ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কোথাও একটা হারিয়ে গেলেন তিনি। যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়া হাওয়াই মিঠাই। যতটা প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে তুলে সামিতের শুরু, সেই উচ্চতায় তিনি পৌঁছাতে পারলেন না। কিন্তু তবুও ঝলক দেখিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের। প্রথম ম্যাচ বলেই খানিক ছন্দের ঘাটতি।

কানাডা থেকে এসেছেন তিনি এই বাংলার টানে। বহুকাল ধরেই তাকে লাল-সবুজের জার্সিতে দেখতে চেয়েছে এই তল্লাটে লোকজন। বহুল আকাঙ্ক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়ে তিনি গায়ে চড়িয়েছেন বাংলাদেশের জার্সি। প্রথম ম্যাচটাই তিনি খেলতে নামলেন দেশের মাটিতে।

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের আকাশচুম্বী প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশার জ্বালানি অবশ্য জুগিয়েছেন এই সামিত সোমরাই। হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার ৪-২-৩-১ ফরমেশনের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার রোলে জায়গা পেলেন সামিত সোম।

বেশ গুরুদায়িত্ব। তাকে দিতে হবে গোলের জোগান। সে কাজটা তিনি করেছেনও বেশ ক’বার। প্রায় চারজন ডিফেন্ডারদের মাঝখান থেকে তিনি বল বাড়িয়েছেন রাকিব হোসেনের উদ্দেশ্যে। তার আগে আবার কাটিয়েছেন দুইজন ডিফেন্ডারকে। কিন্তু শেষ পাসটা ঠিক হয়নি জেনেই জার্সিতে লুকিয়েছেন নিজের মুখ।

এরপর তো একটি পাসেই পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডারদের। ফাহমিদুল ইসলাম সেই বলটায় ঠিকঠাক শট নিতে পারলেই বদলে যেতে পারত পুরো ম্যাচের চিত্র। এছাড়াও বাম দিকে সরে গিয়ে পিনপয়েন্ট ক্রস রেখেছেন শামিত ডি-বক্সের ভেতরে। কিন্তু একজন জাত স্ট্রাইকারের অভাবে গোলটা পাওয়া হয়নি তার।

এসব ঘটনার অধিকাংশই ঘটেছে প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক পরিবর্তনে এলোমেলো গোটা দল। প্রচণ্ড গরমে সামিত খানিকটা কাহিল হয়ে পড়েছিলেন। চিরকাল থেকেছেন কানাডার প্রচণ্ড শীতল পরিবেশে। তার কাছে বাংলাদেশের জুন মাসের গরম তো ফুটন্ত পানির সমান।

তবে দিনশেষ সামিত ওই দু-একটি পাসেই সামিত সোম বুঝিয়ে দিয়েছেন নিজের সক্ষমতা। প্রথম ম্যাচ বলেই খানিকটা খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে তার। দলের সাথে সখ্যতা আর রসায়ন জমে উঠলেই তিনি হয়ে উঠবেন বাংলাদেশের কেভিন ডি ব্রুইন।

Share via
Copy link