আকাশে লাফিয়ে, হাওয়া ভেসে নাজমুল হোসেন শান্ত মাতলেন বুনো উল্লাসে। শেজদাহতে কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি সৃষ্টিকর্তার দরবারে। সেঞ্চুরিতে শুরু করলেন দ্বাদশ বিপিএলে নিজের যাত্রা। দলের জয়ে শান্তর ব্যাট থেকে এলো ক্যারিয়ারের তিন নম্বর টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের মঞ্চে এদিন তিনি আলিঙ্গন করলেন ব্যক্তিগত দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। দলনেতা হিসেবে দলের জয়ে লড়ে গেলেন সম্মুখ সারির সেনানী।
রান যতই হোক, তাড়া করে জিতব- এমন প্রত্যয় থেকে টসে জিতে শান্ত নিয়েছিলেন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত। পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটিং তাণ্ডব, আফিফ হোসেনের প্রত্যাবর্তনের ঝড়ে, পাহাড় সমান সংগ্রহ সিলেট টাইটান্সের স্কোরবোর্ডে। ১৯১ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুড়ে দেয় সিলেট টাইটান্স।
এত সুবিশাল লক্ষ্য পাবে জয়ের জন্য, সেটাও নিশ্চয়ই ছিল না রাজশাহীর প্রত্যাশিত। কিন্তু কি আর করার, নিজের নেওয়ার সিদ্ধান্তকে তো সঠিক প্রমাণ করতেই হবে। তাইতো নিজ হাতে দায়িত্ব তুলে নিলেন রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। উদ্বোধনী জুটি থেকে যেমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রত্যাশিত ছিল, তা হয়নি বাস্তব।

এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বাইশ গজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যেই মুহূর্ত থেকে তিনি উপলব্ধি করলেন নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তার হাতে, ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই শান্তর আগ্রাসনের শুরু। সাইম আইয়ুবকে এক ওভারে তিন খানা চার হাঁকালেন শান্ত। বা-হাতি এই ব্যাটারও যুক্ত হলেন বাউন্ডারি হাঁকানোর মহোৎসবে।
শেষ অবধি দলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন রাজশাহীর অধিনায়ক। দায়িত্বশীল, আকমণাত্মক, জাত ব্যাটারের পরিচায়ক। শান্তর ইনিংসটিকে যেকোন বিশেষণে বেঁধে ফেলা সম্ভব। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় সাজিয়েছেন নিজের সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংসটি। প্রায় ১৬৮ স্ট্রাইকরেটে দলের জন্য লড়ে গেলেন জয় পাওয়ার আগে পর্যন্ত। অপরাজিত থেকেছেন ১০১ রানে।
অধিনায়ক হিসেবে দলের জন্য একেবারে স্বচ্ছ বার্তা দিয়ে রাখলেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে তিনি সামনে থেকেই দেবেন নেতৃত্ব। দারুণ জয়ে শুভ সূচনার অন্তিম লগ্নে তিনিই ধরবেন শিরোপা উঁচিয়ে। ব্রত তার ভীষণ স্পষ্ট।












