নাজমুল হোসেন শান্ত, নড়বড়ে শুরুর পর ২০২৩ সালে এসে বনে গিয়েছিলেন দেশের সবচেয়ে ইনফর্ম ক্রিকেটার। সেই সঙ্গে দেশের ক্রিকেটের উত্থান-পতন তাঁকে বসিয়ে দেন অধিনায়কত্বের আসনে। তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব পেয়ে তিনি বোধহয় একটু এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলেন, পারফরম্যান্সেও সেটার প্রভাব পড়েছিল।
শেষমেশ তাই টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বভার ছেড়ে দিয়েছেন এই ব্যাটার। সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তিন ফরম্যাটের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। এমন না যে আমার ব্যাটিং করতে কষ্ট হয়, আমি রান পাচ্ছিলাম কিন্তু স্ট্রাইক রেট মনমতো ছিল না। আর সবচেয়ে বড় কথা ওয়ানডে, টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির মধ্যে বারবার সুইচ করা আমার জন্য বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’
এজন্যই টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন এই বাঁ-হাতি; সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে কেবল ব্যাটিংয়ে মনোযোগী হতে চান তিনি। কিন্তু বাকি দুই ফরম্যাটে কি অধিনায়কত্ব করাটা উপভোগ করছেন তিনি?
উত্তরে শান্ত বলেন, ‘দল ভাল করুক, খারাপ করুক হিসেব আমাকে দিতে হবে। কিন্তু এক পর্যায়ে আমার মনে হয়েছে আমি যা চাই সেটা পুরোপুরি পাচ্ছি না। অথচ ফলাফলের জন্য আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। আমি তখনি দায়িত্ব নিতে পারব যখন আমার হাতে পুরো ব্যাপারটা থাকবে। তো এসব নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল মাঝে, এখন মোটামুটি সব সমাধান হয়েছে।’
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ মূলত এই তারকাকে সাহস জুগিয়েছেন, তাঁর অনুরোধে দুই ফরম্যাটের অধিনায়ক হিসেবে থাকতে রাজি হয়েছেন নাজমুল শান্ত। শান্ত বলেন, ‘ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। আমার চাওয়া, পরিকল্পনা সবই বলেছিলাম। তিনি শুনেছেন, ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন। সবমিলিয়ে কার্যকরী একটা আলোচনা ছিল, তো আমার কাজ কিছুটা সহজ হয়েছে।’
এখন তাহলে টাইগার কাপ্তানের চাওয়ার সঙ্গে পাওয়া কতটা মিলছে? তিনি বলেন, ‘ফারুক ভাই মোটামুটি ৮০/৯০ ভাগ কথা রেখেছেন। আমার কোন সময়সীমা নেই, তবে আশা করছি দলের ভালোর জন্য যা দরকার সবকিছুই দ্রুত সময়ের মধ্যে পাওয়া যাবে।’