তিন নম্বরে শান্তই ভরসা

ইনডোরের পাঁচ নেটে বাংলাদেশের পাঁচ ব্যাটার অনুশীলন করছেন। আর সেটা মনোযোগ দিয়ে দেখছেন চান্দিক হাতুরুসিংহে। একেবারে মাঝের তিন নাম্বার নেটটায় পাঠানো হয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তকে। আর সেই নেটে বোলিং করছেন বাংলাদেশের পেসাররা। নতুন বলে যে ধরনের বল খেলতে হয় ঠিক সেগুলোই অনুশীলন করানো হল শান্তকে।

ইনডোরের নেট গুলোতে প্রথম স্লটে ব্যাট করতে পাঠানো হয় তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। এরপর তিন নাম্বার নেটে যোগ দেন সাকিব আল হাসানও। আর এটাই মূলত ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ বলা যেতে পারে। এর বাইরে যোগ হবেন শুধু আফিফ হোসেন।

নেটে নাজমুল হোসেন শান্তকে বোলিং করলেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। কেননা নতুন বলে বাংলাদেশের হয়েও তো পেসারদের তাঁকেই সামলাতে হতে পারে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে ওপেন করবেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।

আর এই সিরিজে তিন নম্বরে বাংলাদেশের প্রথম পছন্দ নাজমুল হোসেন শান্ত। ভারতের বিপক্ষেও একটি ম্যাচ তিনে খেলেছিলেন শান্ত। সেই ম্যাচে করতে পেরেছিলেন ২১ রান। ওদিকে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে কখনোই নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি এই ব্যাটার।

বাংলাদেশের হয়ে ইতোমধ্যে ১৫ টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ফেললেও এখনো একটি অর্ধশতকও করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে সেই শান্তকেই তিনে খেলাতে চায় বাংলাদেশ দল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবে কখনো প্রমাণ করতে না পারলেও শান্তকে নিয়ে দেশের ক্রিকেটের সবাই অনেক বেশি আশাবাদী। মূলত তাঁর ব্যাটিং টেকনিকই এই আশা দেখায়। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় সব কোচই তাঁকে দেখে মুগ্ধ হন। একই ঘটনা হাতুরুর ক্ষেত্রেও। তিনিও তাঁর পরিকল্পনায় রাখছেন এই ব্যাটারকে।

সম্প্রতি অবশ্য রানের দেখা পাচ্ছেন তিনি। গতবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করেছিলেন দুইশোরও বেশি রান। এরপর আজ বিপিএলে তো তিনি ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টই হয়েছেন। এক আসরে করেছেন পাঁচশো রান। যদিও বিপিএলে তাঁর ব্যাটিং স্ট্রাইকরেট নিয়ে প্রশ্ন ছিল কিছু।

তবুও রানে থাকা শান্তকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ দল। সেজন্যই অনুশীলনে প্রস্তুত করা হচ্ছে এই ব্যাটারকে। তিন নাম্বারে জোফরা আর্চারদের পেস সামলাতে হতে পারে তাঁকে। সেজন্যই নেটে বেশি বেশি খেলছেন তাসকিনদের।

ওদিকে ব্যাটিং এর পাশাপাশি বোলিং এর দিকেও বেশ মনোযোগ দিতে দেখা যায় তাঁকে। অবশ্য হাতুরু আসার পর থেকে পার্টটাইম বোলাররাও নেটে নিয়মিত হাত ঘোরাচ্ছেন। আজও যেমন ব্যাটিং করার পর বেশ খানিকক্ষণ নেটে বোলিং করেছেন শান্ত।

শুধুই শান্তই নয়। আজ ইনডোরে অনুশীলনের শুরুতেই বোলিং করতে দেখা গিয়েছে আফিফ হোসেনকে। আগে বোলিং করে পরেই পেয়েছেন ব্যাটিং করার অনুমতি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নিজেদের কাছে থাকা প্রতিটি অপশনের ঠিকঠাক ব্যবহার করতে চান হাতুরু।

লেখক পরিচিতি

আমার ডায়েরির প্রতিটা পৃষ্ঠাই আমার বাইশ গজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link