শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা যেন রীতিমত অতিষ্ঠ করে তুলেছে বাংলাদেশকে। তাইতো নেয়াহেত শিশুসুলভ ভুলের মঞ্চায়ন হলো। একেবারের দৃষ্টিকটু এক রিভিউ নিয়ে যার মঞ্চায়ন করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসের তখন ৪৪ তম ওভার চলমান। ব্যাট করছেন কুশল মেন্ডিস ও ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। তাইজুল ইসলাম এসেছেন বল হাতে। সেই ওভারের পঞ্চম বলটাতেই শান্ত লেগ বিফোর আউটের জন্যে রিভিউ আবেদন করেন।
ব্যাটার ছিলেন কুশল মেন্ডিস। তাইজুল ইসলামের প্রায় ৮৯ কিলো/ঘন্টা গতির বলটা সামনে এসে ডিফেন্ড করেন কুশল। গুড লেন্থে অফ স্ট্যাম্প লাইনের বলটা কোন রকম অসুবিধায় ফেলেনি কুশলকে। তিনি বেশ সহজাতভাবেই তা ঠেকিয়ে দেন, কোন রকম বিপদ ছাড়াই।
বাংলাদেশের কাছ থেকেও তেমন জোরালো কোন আবেদন আসেনি শুরুতে। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে আম্পায়রের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নিয়ে নেন। তবে মাঠের বড় পর্দায় ভেসে ওঠে ঠিক কতটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন শান্ত।
তাইজুলের সেই বলটা ব্যাটের সহয়তায় খেলেছিলেন কুশল। একেবারে ব্যাটের মধ্যভাগেই লাগে সেটি। অথচ শান্ত হয়ত ভেবেছিলেন ব্যাটের আগে বল ছুঁয়েছিল প্যাড। তবে তেমন কিছুই ঘটেনি শেষ পর্যন্ত। অগ্যতা বাংলাদেশের কাছ থেকে হাতছাড়া হয় এক মূলবান রিভিউ।
এমন অবান্তর সিদ্ধান্তে একটা বিষয় অন্তত স্পষ্ট। শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা বেশ কঠিন মানসিক পরীক্ষাই নিয়ে ছাড়ছেন বাংলাদেশের বোলার ও ফিল্ডারদের। তারা যেন উইকেট দিতেই নারাজ। শান্তর রিভিউয়ের ঘটনার মঞ্চায়নের সময় একটি উইকেটের পতন অবশ্য ঘটেছিল।
তবে সেটা ছিল এক নিছক ভুল বোঝাবুঝির ফসল। রানআউটে কাটা পড়েন নিশান মাদুশকা। অবশ্য এ ছাড়াও উইকেট শিকারের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন হাসান মাহমুদ। ইনিংসের শুরুতে তার করা বলে স্লিপে ওঠে ক্যাচ। সে ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়।
এরপর দিমুথ করুণারত্ন ক্যাচ তুলে দেন ডিপ ফাইন লেগে। সেখানেও ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব আল হাসান। দুই ক্যাচ মিস যেন বাংলাদেশকে আরও বেশি হতাশ করে তোলে।
সেই হতাশা থেকেই হয়ত মানসিক অবসাদের উৎপত্তি ঘটে। তাতে হয় মনোযোগের ঘাটতি। আর এরপরই মঞ্চায়িত হয় দৃষ্টিকটু ভুল। তাতে অন্তত প্রমাণিত হয়, ঠিক কতটা স্নায়ুচাপ ও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে গোটা বাংলাদেশ শিবিরকে।