নাজমুল হোসেন শান্ত একটু আত্মবিশ্বাসের অন্বেষণে ছিলেন। লম্বা সময় বাইশ গজে থিতু হওয়া, পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করা ও ব্যাটে রান করা শান্তর জন্য ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট সিলেটের বিপক্ষে প্রাপ্ত সুযোগ তাই কাজে লাগালেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক।
ইনজুরির কারণে গোটা একটা সিরিজ খেলা হয়ে ওঠেনি শান্তর। ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে ঘটে গেছে বহু ঘটনা। কিন্তু সেসবের সাক্ষী হতে পারেননি নাজমুল শান্ত। ইনজুরি নিয়ে দেশে পুনর্বাসন চালিয়ে গেছেন। কিন্তু সামনেই তো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এর আগে তো ম্যাচ প্রস্তুতি থাকা চাই। সেই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এনসিএলে শান্ত।
শুরুর দু’টো ম্যাচ তিনি খেললেননি। রাজশাহীর অধিনায়কত্বের ভার তাই তরুণ প্রিতম কুমারের হাতে। বেশ নির্ভার থাকতে পেরেছেন শান্ত। কিন্তু তবুও খুব একটা ফায়দা হচ্ছিল না। ব্যাটে বড় রান আসছিল না। আর ঠিক সে কারণেই সম্ভবত ধুকতে হয়েছে রাজশাহীকেও। টেবিলের একেবারে তলানিতে রয়েছে দলটি। এমনকি লিগ রাউন্ডের শেষ দিনেও তারা নেই কোন সমীকরণে।
তবে শান্ত একটা চেষ্টা চালালেন। শেষটা অন্তত রাঙিয়ে রাখতে চাইলেন। সেই আশা থেকেই তিনি তুলে নিয়েছেন টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি থেমেছিল ৮০ রানে, দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি থেমেছে ৭৮ রানে। শতকের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও শতক হাঁকাতে ব্যর্থ শান্ত। তবে একটু স্বস্তি আছে বৈকি।
বরিশালের বিপক্ষে ৮০ রান তুলতে ৫৪ বল খরচ হয়েছে তার। তবে সিলেটের বিপক্ষে ৭৮ রান করেছেন তিনি ৪৮ বলে। ধীরে ধীরে অতিরিক্ত বল অপচয়ের প্রবণতাও কমানোর প্রয়াশ করছেন শান্ত। এসব কিছু ব্যক্তি শান্তর জন্য যতটা ইতিবাচক, ঠিক ততটাই ইতিবাচক বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য।
তিনি যে এখনও তিন ফরম্যাটের অধিনায়ক। রান খরায় ভুগে নিশ্চয়ই তিনি দলের বোঝা হতে চাইবেন না। তাছাড়া ইনজুরি আত্মবিশ্বাসে আঘাত করে। নিজের প্রতি বিশ্বাস হয়ত পুনরুদ্ধার হয়েছে শান্তর। এখন স্রেফ তাকে ধারাবাহিক হতে হবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে নয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।