শন টেইট ছয় মাস সময় চেয়েছেন। তিনি এর মধ্যে কিছুই করবেন না। স্রেফ পর্যবেক্ষণ করবেন। এরপর প্রয়োজন সাপেক্ষে বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আনবেন সাবেক অজি তারকা। বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিট এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা- সেটা মেনে নেবে যে কেউ। এমন ইউনিটের দায়িত্বভারই পড়েছে শন টেইটের উপর।
মাস দুয়েক আগে শন টেইটকে জাতীয় ক্রিকেট দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে কেটেছে স্রেফ মাস দুয়েক। শ্রীলঙ্কা সফর থেকেই মূলত শুরু বাংলাদেশের সাথে টেইটের যাত্রা শুরু। শ্রীলঙ্কা সফর মিশ্র অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই গিয়েছে গোটা দলের। সাথে শন টেইটেরও।
তবে এখনই আমুল পরিবর্তন ঘটবে না বাংলাদেশ দলের। এই পুরো সফরে টাইগার পেসারদের শক্তিমত্তা আর দূর্বলতা ইতোমধ্যেই খুঁজে পেয়েছেন শন টেইট। নতুন বলে তার কাছে পেস অ্যাটাককে যথেষ্ট ক্ষুরধার মনে হয়েছে অজি এই গতিদানবের। তবে ডেথ বোলিংয়ে খানিকটা দূর্বলতা রয়েছে পেসারদের। টেইট তাই এই ডেথ বোলিংয়ের দিকেই মনোযোগ বাড়াবেন।
বাংলাদেশ দল সাজানোতে এই এক পেস ডিপার্টমেন্টেই যা একটু বিলাসিতা করা যায়। ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট, আর ফর্ম বিবেচনায় যেকোন বোলারকে বসিয়ে রাখা যায়। এই বিলাসিতার পূর্ণ ব্যবহারে সাদা ও লাল বলের দুই সেট পেস বোলারকে চাইলেই আলাদা করে ফেলা যায়।
শন টেইটের মূল চ্যালেঞ্জ অন্তত সেটাই। সাদা বলে প্রথমত ডেথ ওভারে পেসারদের দূর্বলতা দূর করা। এছাড়া ফরম্যাট ভেদে আলাদা পেস আক্রমণ সেট করা নিয়েই হয়ত শন টেইট ভাবতে চাইবেন। তবে এই মুহূর্তে তিনি স্রেফ অবলোকন করে যাচ্ছেন বাংলাদেশি পেসারদের পরিস্থিতি। স্কিল কিংবা বোলিং অ্যাকশন কোথাও হাত দিতে নারাজ অজি এই কোচ।
এই সময়ে তিনি স্রেফ ডেথ ওভার বোলিংয়ের উন্নতির দিকে নজর দেবেন। আর এরপর হয়ত পেসারদের সামগ্রিক উন্নতির দিকে অগ্রসর হবেন শন টেইট। ২০২৭ সাল পর্যন্ত তার সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এরই মধ্যে বাংলাদেশের এই পেস বোলিং অ্যাটাককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে বধ্য পরিকর, এক সময়ে যিনি তুলেছেন বাইশ গজে গতির ঝড়।