চার-পাঁচ নম্বর পজিশনটা, ফরম্যাট যাই হোক খুবই গুরুত্ববহ। টপ অর্ডার আর মিডল অর্ডারের মধ্যে এই পজিশনগুলো একটা যোগাযোগ স্থাপন করে। আর সেটাতেই ব্যাটিং ইনিংসের মোমেন্টাম নির্ধারিত হয়।
বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট উইন্ডিজ – দুই দলেরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাট করেছেন ওই চার আর পাঁচ নম্বরেই। তাঁরাই ইনিংসের গতিপথ নির্ধারণ করেছেন। আর এখানেই দুই দলের পার্থক্যটাও স্পষ্ট হয়েছে, ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয়েছে।
রাদারফোর্ড ৮০ বলে ১১৩ করেছেন পাঁচ নম্বরে নেমে। আর মিরাজ ১০১ বলে ৭৪ করেছেন, চার নম্বরে খেলে। একই উইকেট। কম বেশি পুরোটা সময়ই যা কথা বলেছে ব্যাটারদের হয়ে। অথচ, মিরাজের প্রায় দ্বিগুণ স্ট্রাইক রেটে খেলেছে রাদারফোর্ড। বাংলাদেশের ম্যাচ হারতে এর বেশি কিছু দরকার ছিল না!
বাংলাদেশে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, উইন্ডিজের শেরফেন রাদারফোর্ড। সেই লড়াইয়ে বিশাল ব্যবধানে জিতে যান রাদারফোর্ড। যেখান থেকে রান রেট বাড়ানোর দরকার ছিল সেটা রাদাফোর্ড পারলেও মেহেদী মিরাজ পারেনি। ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে গেছে ওখানেই।
জিততে হলে শেরফেন রাদারফোর্ডকে উইকেটে থিতু হতে দেওয়া যাবে না। এই ভুলটাই সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের ওয়ার্নার পার্কে করেছে বাংলাদেশ দল।
ক্যারিয়ারে মোটে তাঁর আটটা ওয়ানডে ইনিংস। সেখানে এই ম্যাচের আগে যে সাতটা ইনিংসে মাঠে নামেন তাঁর পাঁচটাতেই পান হাফ সেঞ্চুরি। স্ট্রাইক রেট বেশ স্বাস্থ্যকর, ১১০-এর কাছাকাছি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ওয়ানডেতে ছিল তাঁর টানা চারটা হাফ সেঞ্চুরি। দু’টোতে আবার অপরাজিত। ক্রমেই নিজেকে ওয়ানডে ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ম্যাচ উইনারে পরিণত করছেন রাদারফোর্ড।
অষ্টম ওয়ানডে ইনিংসে এসে পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। আর পাঁচ নম্বরে নেমে কিভাবে ম্যাচ নিজেদের লাগামের মধ্যে আনতে হয় – সেটা দেখিয়ে দিলেন চোখে আঙুল দিয়ে। দেখেও কি শিখতে পারবেন মিরাজরা?