টেস্ট ক্রিকেটে জেমস অ্যান্ডারসনকে কিংবদন্তি বললে কি ভুল বলা হবে? মোটেই না, বরং কম বলা হবে। সাদা পোশাক আর লাল বলের সাধনায় নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন তিনি; আর যতটা সময় ধরে টেস্টে ক্রিকেটে ধ্যানমগ্ন আছেন এই পেসার সেটাও ছাড়িয়ে যাবে অনেক হৃদয়ের কল্পনাকে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া দুই তরুণ স্পিনারের সঙ্গেই তুলনা করা যাক। উপমহাদেশীয় কন্ডিশনের সুবিধা নিতে ইংলিশরা দলে নিয়েছিল রেহান আহমেদ এবং শোয়েব বশিরকে। দুজনেরই বয়স ২২ এর নিচে, অর্থাৎ তাঁদের জন্ম এই শতাব্দীতেই।
একেবারে নিখুঁতভাবে বলতে গেলে বশিরের জন্ম হয়েছিল ২০০৩ সালের ১৩ই অক্টোবর। আর রেহান পৃথিবীর আলো দেখেছিলেন পরের বছরের আগস্ট মাসের একই দিনে। আর ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে অ্যান্ডারসনের অভিষেক হয়েছিল কবে জানেন? ২০০৩ সালের ২২ মে – বলাই যায়, এই ডানহাতির দীর্ঘসূত্রিতা ছাড়িয়ে গিয়েছে সতীর্থের জন্মকেও।
সব মিলিয়ে দুই দশকের বেশি খেলে ফেলেছেন তিনি। এর মাঝে এক যুগ দাপটের সাথে খেলেছেন টেস্ট, ওয়ানডে দুই ফরম্যাটেই। আর বাকিটা সময় শুভ্রতার সাগরে নিজেকে ভাসিয়ে দিয়েছেন নিঃস্বার্থভাবে।
কিংবদন্তি এই পেসার আসলে চামড়ার গোলকটাকে ভালবাসেন নি:স্বার্থভাবে। তাই তো পারফর্ম করছেন যে কোনো মূল্যে। বয়সের সাথে পাল্লা দিয়ে হয়ে উঠেছেন আরও ক্ষুরধার, এখন দাঁড়িয়ে আছেন প্রথম পেসার হিসেবে ৭০০ টেস্ট উইকেট অর্জনের দ্বারপ্রান্তে। এজন্য মাত্র দশটা প্রয়োজন তাঁর।
জেমস অ্যান্ডারসনের জেদ আর পারফর্ম করার তীব্র ইচ্ছের প্রতিফলন পাওয়া গিয়েছে সাম্প্রতিক ভারত সফরে। বলের গতি আরেকটু বাড়ানোর জন্য নিজের এতদিনকার রান আপ বদলে ফেলেছেন তিনি – এই চেষ্টা আর শ্রমের বিনিময় ক্রিকেট বিধাতা দিয়ে আসছে তাঁকে, যতদিন খেলে যাবেন ততদিনই নিশ্চয়ই দিবে।