অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকিয়ে যায়। বাংলা এই বহুল ব্যবহৃত প্রবাদের সাক্ষাত উদাহরণে যেন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শরিফুল ইসলাম নামক নদী যেন শুকিয়ে মরুভূমি হওয়ার পথে। দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র ইনজুরির ধুম্রজালে পড়েছে আটক।
ঘটনাটা ঘটেছে প্রস্তুতি ম্যাচে। ভারতের বিপক্ষে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ দল। প্রস্তুতির কতটুকু হয়েছে সে প্রশ্ন রীতিমত অমূলক। তবে লাভ কিছু না হলেও ক্ষতি হয়েছে, ক্ষত হয়েছে শরিফুলের বাম হাতে। লেগেছে ছয় ছয়খানা সেলাই।
নিজের বলে হার্দিক পান্ডিয়ার করা এক স্ট্রেইড ড্রাইভ আটকাতে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন শরিফুল। সেই বল সজোরে গিয়ে আঘাত করে। তখনই ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েন শরিফুল। মাঠে ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এরপর নাসাউ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। হ্যান্ড সার্জনের তত্বাবধানে ছোট্ট এক অস্ত্রপচার করা হয়েছে।
তেমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। বিসিবি এর কাছ থেকে আসা এক ভিডিও বার্তাতে শরিফুলের ইনজুরির আপডেটেড তথ্য জানান দেবাশীষ। বিসিবির চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন দুইদিন পর ক্ষতের ড্রেসিং করানো হবে শরিফুলের। তখন শরিফুল কবে নাগাদ খেলতে পারবেন সে বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য মিলবে।
যদিও বাংলাদেশের হাতে যথেষ্ট সময় রয়েছে। শরিফুল সেরে ওঠার সুযোগ হয়ত পাবেন। কেননা বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৮ জুন। হাতে এখনও প্রায় ছয়দিনের মত সময় বাকি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচটা বেজায় গুরুত্বপূর্ণও বটে। এমন এক ম্যাচে শরিফুলকে একাদশের বাইরে রাখা টিম ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রায় অসম্ভব।
তাইতো শরিফুলের সুস্থ হওয়া প্রয়োজন। কেননা তাসকিন আহমেদ এখনও ম্যাচ খেলবার মত ফিট হয়ে উঠেছেন কি-না সে সংশয় রয়ে গেছে। দলের দুই সেরা পেসারের দুইজনই চোট আক্রান্ত। এমন এক বৈরি পরিস্থিতিতে দ্রুততম সময়ে তারা সুস্থ হয়ে উঠবেন সেটাই হয়ত প্রত্যাশা করছেন সকলে।